অব্যাহতি পাওয়া অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে আছেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে কোনো সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশ অব্যাহতির সুপারিশ করে এবং আদালত তা গ্রহণ করেন।”
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি নির্ধারিত ছিল হাইকোর্টে। তার আগের দিন ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানার বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন ফটকের সামনে দুষ্কৃতিকারীরা মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাটিকে জামিন শুনানির রায় প্রভাবিত করার চেষ্টা ও বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে শাহবাগ থানার এসআই শামছুর রহমান মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ মোট ৭৭ নেতাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। আদালত সেটি আমলে নিয়ে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন।