বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে" রেহানা আক্তার রেহানা"নামে ভুয়া আইডি খুলে নারীদের বিভিন্ন হয়রানি এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকদের নামে বিভিন্ন মানহানিকর ভূয়া তথ্য পোষ্ট করার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে মাধবপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।সোমবার সকালে পুলিশ তাকে হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে হাজির করেন। সাইফুল ইসলাম মাধবপুর উপজেলার কমলানগর গ্রামের আজব আলীর ছেলে।
সে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র বলে জানাগেছে।
মাধবপুর থানার এসআই নাজমুল হাসাব সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,রোববার রাতে চৌমুহনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে "রেহানা আক্তার রেহানা "নামে ভুয়া ফেসবুক নামে আইডি চালিয়ে আসছিলেন। তার ঠিকানা দিতো গাজীপুর,সে ৫ তালা বিল্ডিংএর মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী বলেও দাবী করতেন।ওই আইডি থেকে ফেসবুকে নারী পরিচয়, নারী কন্ঠ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য, গুজব ও মানহানিকর পোস্ট ছড়িয়ে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে পোস্ট করে জনমনে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতেন। তার পরিচয় গাজীপুর দিলে ও সে চৌমুহনী এমনকি মাধবপুরের সকলকে চিনতেন এবং মোবাইলে যোগাযোগ করে অপপ্রচার করতেন।যাকে তাকে মানহানীকর কথা তুলে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও রয়েছে।
তাকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়েছে। এলাকায় প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকটি ভুয়া আইডির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী নামে এক জন সাংবাদিক জানান, জন্মস্হান মাধবপুরে হলেও দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডে থাকেন তার বিরুদ্ধে ও ভুয়া মানহানিকর লেখা লেখি করেন, কারণ তার এসব অপ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায়। এব্যাপারে তিনি সীতাকুণ্ড থানা একটি ডাইরি করেছেন।
মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রোকনউদ্দিন লস্কর জানায়,দীর্ঘদিন ধরে সাইফুল নারীদের নামে আইডি খুলে অনলাইনে ভয়ংকর অপরাধ করে যাচ্ছিল। তার ভয়ে সবাই আতংকিত ছিল। এই যুবকের গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্হানীয় সাংবাদিক ও মাধবপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হামিদুর রহমান জানায়,এলাকায় রেহানা আক্তার রেহানা ফেসবুক আইডিটি চৌমুহনীতে একটি আতংকের ছিল,চেয়ারম্যান,মেম্বার,রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা,গন্যমান্যব্যক্তি কাউকে সে রেহায় দেয়নি মানহানীকর অপপ্রচার থেকে, তিনি মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে এই ধরপাকড় একটি বড় ধরনের বার্তা দেবে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্ল্যা জানান,সাইফুলের বিরুদ্ধে সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কোর্টে সে অনেককিছু স্বীকারোক্তি দিয়েছে।আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।