 
                            
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর চাপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইউয়ামা কিমিনোরি। হাসপাতালটি পরিদর্শনকালে স্বল্প জনবল ও সক্ষমতায় সুন্দর চিকিৎসা কার্যক্রমের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সঙ্গে জাপান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএমএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বিশ্বের অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা অনেক বেশি এগিয়ে। জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন, সেসময় এ হাসপাতালের এতো সংখ্যক রোগী দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। রাষ্ট্রদূত আমার কাছে জানতে চেয়েছেন অল্প সক্ষমতা ও এই জনবল দিয়েও কিভাবে এতো সুন্দর চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছি। তিনি চিকিৎসকদেরও প্রশংসা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সঙ্গে আমাদের কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। তারা এখনও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। দেশের অসংখ্য চিকিৎসক জাপানে স্কলারশিপে প্রশিক্ষণে যায়। আমরাও বিএসএমএমইউর পক্ষ থেকে জাপানের এসব প্রশিক্ষণ ও স্কলারশিপে জোরালোভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই তাদের সঙ্গে আমাদের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, প্রতিবছর বিএসএমএমইউর ক্লিনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের একজন বিশেষজ্ঞ (সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের) জাপানের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন থেকে ছয় মাসের উচ্চতর ফেলোশিপ ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবেন। বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এ ট্রেনিংয়ের সকল ব্যয়ভার বহন করবে জাপান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (জেবিএমএ)।
এর আগে ২০১৩ সাল থেকে ডা. সামন্ত লাল সেনের উদ্যোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জনদের জাপানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ফেলোশিপ ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা করে আসছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জনদের পাশাপাশি অন্যান্য ক্লিনিক্যাল বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও উচ্চতর ফেলোশিপের সুযোগ পাবেন।
 
                                                
                                                 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                         
                                        
                                        
                                    