কিশোরগঞ্জে এনসিপিতে যোগ দেওয়ায় তিন যুবলীগ নেতা বহিষ্কৃত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:০১ অপরাহ্ণ   |   ২৬ বার পঠিত
কিশোরগঞ্জে এনসিপিতে যোগ দেওয়ায় তিন যুবলীগ নেতা বহিষ্কৃত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-

 

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দেওয়ায় কিশোরগঞ্জের তিন যুবলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন—ইটনা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির শ্যামল, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল এবং ইটনা উপজেলা যুবলীগের সদস্য বাছেদ আহমেদ।
 

রোববার রাতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও মো. রুহুল আমিন খানের স্বাক্ষরে বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। নোটিশে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ‘জুলাই সন্ত্রাসীদের দল’ হিসেবে চিহ্নিত এনসিপির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার দায়ে যুবলীগের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারায় তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
 

বহিষ্কৃতদের মধ্যে গোলাম কবির শ্যামল সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানায় এনসিপির এক পথসভায় বক্তৃতা দেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দলীয় মহলে আলোচনার জন্ম দেয়। শ্যামলের বাবা ওমর ফারুক ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।
 

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে গত ৫ জুন গঠিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট ইটনা উপজেলা কমিটিতে শ্যামলকে ২ নম্বর, সোহেলকে ৪ নম্বর এবং বাছেদকে ১১ নম্বর সদস্য করা হয়।
 

এ বিষয়ে শ্যামল ও সোহেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বাছেদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অনেক আগেই যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং বর্তমানে এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয়।
 

এ বিষয়ে এনসিপির ইটনা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মো. নাজমুল ঠাকুর জানান, শ্যামল ২০১৮ সালেই যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তার দাবি, স্থানীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রে এখন তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।
 

অন্যদিকে জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।