বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে শান্তকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর ব্রিজের পাশে ডেকে নেয় আসামিরা। সেখানে ফাঁকা স্থানে নিয়ে প্রথমে রবিউল ইসলাম রানা তার গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে ধরে এবং পরে সামিদুল হক মনা ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
হত্যার পর অটোরিকশাটি হজরত আলির সহায়তায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরের নয়ন মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে ওই ক্রেতাকে গ্রেফতার করে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে তুরাগ থানা পুলিশ দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে। প্রথমে কাফরুল এলাকা থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. সামিদুল হক মনাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয় এবং অন্যান্য আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মো. রবিউল ইসলাম রানা, হজরত আলি ও মো. নয়ন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় তুরাগ থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।