প্রকাশকালঃ
০৩ মার্চ ২০২৪ ০৩:৩৬ অপরাহ্ণ ২৫৬ বার পঠিত
পেটে গ্যাস জমে কষ্ট পেতে হয় অনেককেই। বিভিন্ন ধরনের খাবার এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে। আবার খাদ্যাভ্যাসের কিছু ভুলের কারণেও পেটে গ্যাস জমতে পারে। এটি যে কত যন্ত্রণার সেটা যারা ভোগেন তারাই বোঝেন। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে সচেতন হয়ে বাইরের খাবার খান না, ঘরে তৈরি খাবার নিয়মমাফিক খান। এরপরও পেটে গ্যাস জমে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন।
একটু ভারী বা মসলাদার খাবার খেলে তো কথাই নেই, তখন সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশিরভাগই ওষুধের ওপর নির্ভর করেন। এরজন্য মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস করেন অনেকেই। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ পাওয়া যায় আজকাল। তবে ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
শসা
শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
দই
দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
পেঁপে
পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
কলা ও কমলা
কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
আদা
আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
ঠাণ্ডা দুধ
পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
দারুচিনি
হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।