ভারতে কার্যকর হয়েছে ৩টি নতুন ফৌজদারি আইন

প্রকাশকালঃ ০২ জুলাই ২০২৪ ০২:০৭ অপরাহ্ণ ৩৯০ বার পঠিত
ভারতে কার্যকর হয়েছে ৩টি নতুন ফৌজদারি আইন

সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন আইনের অধীনে ভারতীয় আইন ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি মুছে গেল ব্রিটিশ আমলের নিয়মগুলো। এতে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া পরিচিত ধারাগুলোও বদলে গেছে। 

 

নির্দিষ্ট একটি এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে জনসমাবেশ ঠেকাতে ১৪৪ ধারার অধীনে কারফিউ জারি করা হতো। কিন্তু নতুন আইনের অধীনে কারফিউ হিসেবে অধিক পরিচিত সেই ১৪৪ ধারা এখন ১৬৩। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না।  সেই ধারার পরিবর্তে হয়েছে ৩১৮ (৪) ধারা। আবার গৃহবধূ নির্যাতনের ধারা ছিল দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ। সেই ধারা বদলে হয়েছে ৮৫। আবার খুনের অপরাধে এখন ৩০২ এর পরিবর্তে ১০৩ উল্লেখ করতে হবে। ৩৭৬ ধারার ধর্ষণের অপরাধ এখন ৬৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য হবে।  

 

১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ বা ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’র পরিবর্তে আনা হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ বা ‘ফৌজদারি দণ্ডবিধি’র নতুন রূপ ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বা ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’-এর বদলে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’। বদলে গেছে দেশদ্রোহিতার সংজ্ঞা এবং আলাদা ধারা আনা হয়েছে গণপিটুনির ক্ষেত্রে। 

 

গত সোমবার থেকে ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে একেবারে শূন্য থেকে শুরু হয়েছে দেশটির পুলিশ-প্রশাসন, আইনজীবী, এমনকি বিচারকদেরও। নতুন আইনে কী কী অপরাধ এবং তার শাস্তি হিসেবে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন অনেকেই। মোদী সরকারের দাবি- নতুন আইনে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু সুরক্ষা, ন্যায় বিচার পাওয়া, সংস্কারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেও। 

 

তবে আইনজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীদের মত আলাদা। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কলিন গোঞ্জালভেস বিবিসিকে বলেন, স্বাধীন ভারতে এমন আইন বলবৎ করা হচ্ছে, যা ব্রিটিশ আমলের চেয়েও বেশি দমনমূলক। এই সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে, ঔপনিবেশিক আইন থেকে মুক্তি পাওয়ার আড়ালে।