মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টেলিভিশন বিতর্ক এর আগে কখনও এত বড় ভূমিকায় আসেনি। এক বিতর্কে পাল্টে গেছে নির্বাচনের যাবতীয় চিত্র। বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলেছে। দলের অভ্যন্তরে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাইডেনকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অর্থদাতা অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
তবে গতকাল সোমবার ডেমোক্র্যাট এমপিদের কাছে বাইডেন এক চিঠিতে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাকে দ্বিগুণ করেছি। আমি এই নির্বাচনেও ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে দলের একজন সেরা প্রার্থী। ভোটাররা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার প্রতিদান আমি এই নির্বাচনেও দিতে চাই। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি প্রার্থিতা থেকে সরবেন না; শুধু ঈশ্বরই তাঁকে সরাতে পারবেন। রোববার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর দাবি তোলেন। গত ২৭ জুন সিএনএনের আয়োজনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ইস্যুতে মিথ্যাচার করলেও বাইডেন যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে অন্যতম তিক্ত ওই বিতর্কের পর বাইডেনের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি নবীন কাউকে প্রার্থী কারার দাবিকে জোরালো করেছে।
বিতর্কে হার বাইডেনের জনপ্রিয়তায় কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের এক জরিপে উঠে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ থেকে ৪৯ শতাংশ ভোটার এখন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের সমর্থন করছে, যা বিতর্কের আগের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। অথচ এই ট্রাম্পকেই ২০২০ সালে দুটি নির্বাচনী বিতর্কে হারান বাইডেন।