চারঘাট উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৫ অপরাহ্ণ   |   ৬৪ বার পঠিত
চারঘাট উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

মোঃশফিকুল ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী):-

 

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে সংঘটিত পল্টন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও খুনি সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 


 

মঙ্গলবার  বিকেল সাড়ে ৪ টায় চারঘাট মডেল মসজিদ থেকে চারঘাট বাজার হয়ে চারঘাট উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনতার স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহণে এই ঐতিহাসিক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল ভাবে শেষ হয়।

 




চারঘাট উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক।
 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার সেক্রেটারি ও জামায়াত মনোনীত চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওঃ মোঃ শফিকুল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ শোয়েব আলী, রাজশাহী জেলা পূর শিবিরের সভাপতি মোঃ রুবেল আলী, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও জামায়াত মনোনীত চারঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ তরিকুল  ইসলাম, চারঘাট উপজেলা শিবিরের সভাপতি নাহিদ হাসান শুভ।
 

আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ শেরে আলম সহ উপজেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন সমূহের আমীর, সভাপতি ও সেক্রেটারি গণ সহ উপজেলা জামায়াত ও শিবিরের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনতা।
 

উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি সহ সম্মানিত অতিথিবৃন্দ বলেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর  আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লগি-বৈঠার তান্ডবে প্রিয় মাতৃভূমি রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছিল। ইতিহাসের সেই বর্বরতম অধ্যায়কে বর্তমান প্রজন্ম মনে রেখেছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই অবিলম্বে পল্টন হত্যাকান্ডে জড়িত সকল খুনি ও সন্ত্রাসীদের বিচার করুন। তিনি বলেন, ইসলামের দুশমনরা মাসুম, শিপন, মুজাহিদদের হত্যা করে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বন্ধ করে রাখতে পারেনি। ওরা নেই, আরো মুজাহিদ এগিয়ে আসছে ওদের শূন্যস্থান দখল করার জন্য। আল্লাহর পথে বাধা দিতে গিয়ে তারাই ধ্বংসের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবে ফেরাউন ও নমরুদের মতো। এর বাস্তব প্রমাণ হলো ৩৬ শে জুলাই বিপ্লব।
 

যা ছাত্ররা প্রতিবাদ করে এবং তা গণবিপ্লবে রূপ নেই। আগামীতে আর যেনো কোন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরচার না আসতে পারে এজন্য আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুলাই সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত, চৌদ্দ দল নিষিদ্ধ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী, বিগত ফ্যাসিষ্টদের বিচার নিশ্চিত করা সহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
 

প্রধান অতিথি বলেন  ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের সকল শহীদ, পঙ্গুত্ব বরণকারীর জন্যে দোয়া করার পাশাপাশি  জুলাই-আগষ্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের চেতনা বুকে লালন করে দেশের স্বাধীনতা ও সারভৌমত্ব রক্ষায় আগামী দিনে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সকলের জন্য মহান রবের নিকট কল্যান কামনা করেন।