বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ, ঝুঁকিতে রোপা আমন ধান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০১ নভেম্বর ২০২৫ ০১:৪০ অপরাহ্ণ   |   ৪০ বার পঠিত
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ, ঝুঁকিতে রোপা আমন ধান

মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে রোপা আমন ধানক্ষেত ডুবে গিয়ে নষ্ট হতে শুরু করেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো কৃষক।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধামাইনগর, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা, ধানগড়া, পাঙ্গাসী, ব্রহ্মগাছা, নলকা, ঘুড়কা ও ধুবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ধানগাছ পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি না নামলে ধানগাছের গোড়ায় পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।
 

কৃষকরা জানান, তারা ইতিমধ্যেই ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে সব মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সময়মতো ফসল ঘরে তোলার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা।
 

এদিকে, গ্রামীণ সড়ক ও স্থানীয় হাটবাজারেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ফসল পরিবহনে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কাটা শুরুর আগেই ক্ষেতের ধান বিক্রির চিন্তা করছেন।
 

পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ধান পেকে গেছে, এখন কাটার সময়। কিন্তু মাঠে পানি জমে যাওয়ায় ঢোকাই যাচ্ছে না। ধান কাটা তো দূরের কথা, জমিতেই আটকে আছে।”
 

একই এলাকার কৃষক মো. আবদুল করিম বলেন, “বৃষ্টি আর জোয়ারে ধানক্ষেত ডুবে গেছে। দ্রুত পানি না নামলে ধানগাছ পচে যাবে—তাহলে সারা বছরের পরিশ্রম বৃথা যাবে।”
 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান মৌসুমি বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই রোপা আমন ফসল ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, “এই সময়ে অতিবৃষ্টি আমন ধানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা মাঠ পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে।”