কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, কমে নি শীতের প্রকোপ 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:২৩ অপরাহ্ণ   |   ৭০ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও, কমে নি শীতের প্রকোপ 

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

দেশের উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। কনকনে ঠান্ডায় কষ্টে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। বিশেষ করে জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ও বিকেলের পর লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার মাঠ-ঘাট।
 

আজ সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘণ্টায় বাতাসের গতি ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। 
 

সকাল ১১টা পার হলেও জেলার চরাঞ্চলগুলোতে এখনো দেখা মেলেনি সূর্যের। জেলা শহরের কোথাও কোথাও সূর্য উঠলেও ঘন কুয়াশার কারণে তা ঢাকা পড়েছে। সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। 
 

সদরের সুজামের মোড়ের শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই দুইদিন ভালোই রোদ ছিলো, ঠান্ডাটা কম মনে হইছিলো। আজ সকাল থাকি আবার বেশি ঠান্ডা মনে হচ্ছে।’
 

শুলকুর বাজারের কৃষক হযরত আলী বলেন, ‘সাত সকালে জমি বাড়িত আসছি কাজ করবের। জারতে হাত-পাও শিষ্টা নাগছে। কুয়াশার তেজত আজ কাম করা মুশকিল হয়া গেইছে।’
 

জেলায় শীত নিবারণের জন্য সরকারিভাবে দুঃস্থদের জন্য যে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে; তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এখনো জেলার চরের বসবাসরত মানুষরা পাননি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত কম্বল। 
 

যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা তারা চাঁদ বলেন, ‘হামরা নদী পাড়ের মানুষ। হামার চরত কোনো মেম্বার-চেয়ারম্যান আসে নাই কম্বল দিবার।’
 

পাশের খেয়ার আলগা চরের হাসিনা বানু বলেন, ‘বাবা ঠান্ডাতে কাম-কাজ করা খুব মুশকিল হয়া গেইছে। চেয়ারম্যান-মেম্বর কাইয়্যো হামার চরত আসে নাই কম্বল ধরি।’
 

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘সরকারিভাবে যে বরাদ্দ পাইছি, তা খুবই অল্প। আমার এলাকার কয়েকটি চরে এখনো কম্বল বিতরণ করতে পারি নাই।’
 

জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, জেলার ৯ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
 

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামের আকাশ দিয়ে হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২-৩ দিন এ রকম থাকবে। সূর্য উঠলেও সহজেই সূর্যের তাপ মিলবে না।’