মরক্কোর রাবাতে মহানবী (সা.)-এর জীবনীবিষয়ক প্রথম ভ্রাম্যমাণ মিউজিয়াম ও প্রদর্শনীতে ৩০ লাখ দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে। মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব ড. আবদুল করিম আল-ঈসা, মুহাম্মদিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইসলামিক স্কলার্সের মহাসচিব ড. আহমাদ আল-আবাদি, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর সালেম মুহাম্মদ আল-মালেকসহ কূটনীতিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদরা। গত বছরের ১৭ নভেম্বর তা উদ্বোধন করেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মুহাম্মদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রাউন প্রিন্স মাওলাই আল-হাসান।
ড. আল-ঈসা বলেছেন, ‘মহানবী (সা.)-এর জীবনীবিষয়ক এই প্রদর্শনী একটি স্মরণীয় মুহৃর্ত উদযাপন করেছে। দর্শনার্থীরা এখানে এসে মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী সম্পর্কে জানতে পারছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও থ্রিডি ইমেজিংসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হচ্ছে। আসেসকো ও মুহাম্মাদিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বশীলরা গুরুত্বের সঙ্গে দর্শকদের কাছে সব তথ্য তুলে ধরছে।
মিউজিয়ামটির প্রধানত তিনটি বিভাগ রয়েছে। তা হলো মহানবী (সা.)-এর জীবনী ও ইসলামী সভ্যতা বিষয়ক প্রদর্শনী ও জাদুঘর এবং প্রথম যুগে মহানবী (সা.)-এর একটি কক্ষের প্যানোরমা, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) ও থ্রিডি ইমেজিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হয়।
তৃতীয়টি হলো মোহাম্মদিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব স্কলার্সের তত্ত্বাবধানে মহানবীর অনুষঙ্গের সঙ্গে মরক্কোর গভীর সম্পর্কের বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শন করা হবে। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের মদিনায় মহানবী (সা.)-এর জীবনী ও ইসলামী সভ্যতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়।
মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর চালুর পরিকল্পনা করে। গত বছরের নভেম্বরে রাবাতে সর্বপ্রথম মিউজিয়ামটি চালু করা হয়। আইএসইএসসিওর তত্ত্বাবধানে এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ ও মোহাম্মদিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব স্কলার্সের সহযোগিতায় চালু হয়। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও থ্রিডি ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনগুলো দেখানো হয়।