আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের সবকটি ছোট-বড় নদ-নদীর পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি রাজারহাট ও উলিপুর এলাকায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ফলে তিস্তার নিচু চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষ করা পেঁয়াজ, বাদাম ও কাউনের ফসল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত শতাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই চেষ্টা করছেন পরিপক্ব ধান ও বাদামের ফসল দ্রুত কেটে নিতে, তবে পানির প্রবাহ না কমায় ফসল রক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী তিন দিন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির স্তর আরও বাড়তে পারে। তবে এখনো পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি, ফলে আপাতত জেলায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী তিন দিন রংপুর অঞ্চল এবং ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই এলাকার নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, তিন দিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের নিচু চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব চরে চাষ হওয়া পেঁয়াজ, বাদাম ও কাউনের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানিয়েছেন, সময়মতো ফসল তুলতে না পারলে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।