শ্রীপুরে এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি ও চুরি

প্রকাশকালঃ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৮ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
শ্রীপুরে এক রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি ও চুরি

ঢাকা প্রেস,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:-

 

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা, স্কুলশিক্ষক এবং এক কৃষি উদ্যোক্তার বাড়িতে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার এবং মূল্যবান মালামালসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটে নেয়। কৃষি উদ্যোক্তার ভাড়া বাসা থেকে চোরেরা নগদ ১৪ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করেছে। ঘটনাগুলো উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রাম এবং তেলিহাটি ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ (ইলিমের মোড়) এলাকায় ঘটেছে।

 

বাঁশবাড়ী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর রাত সোয়া ৩টায় ৩০-৩৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত তার নির্মাণাধীন ভবনের পেছন দিয়ে দোতলায় উঠে এবং সেখান থেকে নেমে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা তাকে হাত-পা বেঁধে রাখে এবং তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ঘরে তাণ্ডব চালিয়ে তারা নগদ ৫৫ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি ৫৬ ইঞ্চি এলইডি টিভি, মাইক্রো-ওভেন, চারটি মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে।

 

শিক্ষকের বড় ভাই এবং গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে একই সময়ে ১৫ জন ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ২৫ হাজার টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ৮ ভরি রুপার অলংকার, একটি এলইডি টিভি, মাইক্রো-ওভেন, মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটে নেয়। যাওয়ার সময় ডাকাতরা বলে যায়, "আপনাদের শত্রু কে? আমরা নির্দেশ মতো কাজ করেছি।"

 

কৃষি উদ্যোক্তা মতিউর রহমান জানান, সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার তার ভাড়া বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। অফিস থেকে ফিরে তিনি ঘরের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। চোরেরা ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রব, ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে মালটা বিক্রির নগদ ১৪ লাখ টাকা, দুই জোড়া কানের দুল, একটি হাতের বালা, একটি নাকফুল, তিনটি স্বর্ণের আংটি এবং একটি মূল্যবান হাতঘড়ি চুরি করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী বাসায় ফিরে দেখেন যে প্রায় সব কিছুই লুট হয়ে গেছে।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তবে তিনি দাবি করেন, কিছু অভিযোগ মিথ্যা হতে পারে এবং ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশের তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।