ঢাকা প্রেস-
শেরপুর: শেরপুর জেলায় বন্যার তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অন্যান্য নদীর পানিও বাড়তে থাকায় পাঁচ উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি। বন্যায় এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহেও পরিস্থিতি একই রকম। দর্শা ও নেতাই নদীর পানি বাড়ার কারণে ১৫টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লাখো মানুষ এখনো পানিবন্দি। অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়ক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
নেত্রকোণা: নেত্রকোণায় উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সোমেশ্বরী, কংশ, ধনুসহ সব নদীর পানিই বাড়ছে। দুর্গাপুর, কলমাকান্দাসহ ৫ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিতে ডুবে আছে। ময়মনসিংহ ও পূর্বধলার জারিয়া রেলপথে পানি উঠে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
তিন জেলায়ই বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ অসহ্য হয়ে উঠেছে। পানিবন্দিদের জন্য খাবার, পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিপর্যয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।