ঢাকা প্রেস,ক্রীড়া ডেস্ক:-
বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে কি লাভ হল...! এই যেন দায়সারা ও জোড়াতালির এবং বাজেট ছাড়ের পর্ব,
আজ দুপুরে ২য় খেলায় বালিকাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাঁচলাইশ জোন।
এই আয়োজনে বেশ কিছু বিষয়ে চরম অগোছালো, অনিয়ম এবং সমন্বয়ের বিশাল অভিযোগ উঠেছে।
উদ্ধোধন দিবস থেকে শুরু করে প্রায়ই অভিযোগ নিয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আব্দুল বারীর সাথে বিভিন্ন জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোচ,টিম ম্যানেজার ও পরিচালকের তর্ক বিতর্ক শেষ দিন পর্যন্ত দেখা গেছে।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে খেলোয়াড় বাছাই করার ক্ষেত্রে। যিনি বা যাদের টিম কোচ ও ম্যানেজার দেওয়া হয়েছে তারা নিজেদের ক্লাব/ ঘরোয়া দল ও নিজস্ব একাডেমীর খেলোয়াড় দিয়ে দল গঠন, সময় মতো প্রচার ও সঠিক তথ্য ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়দের সাথে যুক্ত না করে তড়িঘড়ি করে জেনদেন ভাবে মাঠে নামানো।
খেলার আগে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন ও নিবন্ধন এবং বয়স যাচাই-বাছাই না করে ম্যাচ খেলতে দেয়া।
এই অভিযোগ স্বীকার করে সাবেক ফুটবলার হায়দার কবির প্রিন্স,নিজাম উদ্দিন নেজাম,বাবর উদ্দিন, মোঃ ইব্রাহিম, সংগঠক সালাউদ্দিন জাহিদ, মোঃ নাছির উদ্দিন, হোসেন বাবলা, মোঃ রুবেল, মোঃ জাফর (বাঁশখালী), বাহার উদ্দিন (কর্ণফুলী), মহানগর ক্রীড়া সংস্থার জহিরুল ইসলাম,সিজেকেএসর নজরুল ইসলাম লেদু সহ একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশাল এই আয়োজনে।
তেমনি দুই ঘটনায় অগোছালো অনিয়মের অভিযোগ করা ও স্বাভাবিক ভাবেই উড়তে পারে!
খেলা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে খেলোয়াড় ফরম ফাইলে না থাকা ছবি যুক্ত জন্মনিবন্ধন বা বৈধ বয়স প্রমাণের কাগজ পত্র না দেখে মাঠে নামিয়ে দেড় -২ ঘন্টা ধরে ম্যাচ বন্ধ করে দেয়া এবং পরে বৈঠক করে চালু করা। প্রশ্ন হচ্ছে ফাইনাল খেলার আগে ঐ টিমের খেলোয়াডরা কি করে দুই ম্যাচ খেলে? এছাড়াও ১৭ বছরের উর্ধ্বে বয়সীদের প্রায় মাঠে খেলতে দেখে বিভিন্ন অঞ্চলের আগত দর্শক ও অভিভাবকদের প্রতিবাদী কণ্ঠে বলতে শোনা গেল বয়সীদের আয়োজন না করে বুড়োদের জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল নাম করণ করা উচিত নয় কি...! এছাড়া একাধিক খেলোয়াড় ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন জার্সি নম্বর পাল্টে খেলায় অংশ গ্রহণ করেছে যা উচ্চ পর্যায়ের টিম বাছাই করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র কোচ হায়দার কবির প্রিন্স।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা টিম গুলো ভালো মানের রেফারি ও সহকারী রেফারির বিষয়েও বিদ্রুপ করতে দেখা গেছে ২৫ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে কর্ণফুলী জোন ও বাঁশখালী জোন এর ফাইনালে।
আয়োজন গুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে।
এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপস্থিত সবাই।