সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়।
আল জাজিরা প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম— “মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের হাসিনার মৃত্যুদণ্ড”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে মারাত্মক দমন-পীড়নের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স খবর প্রকাশ করেছে “ছাত্রদের ওপর দমনপীড়নের মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দোষী সাব্যস্ত” শিরোনামে। তারা জানায়, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
বিবিসি প্রতিবেদনের শিরোনাম— “বিক্ষোভ দমনে নৃশংসতার দায়ে বাংলাদেশের সাবেক নেত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড”। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অভিযোগে অনুপস্থিতিতেই শেখ হাসিনার বিচার সম্পন্ন হয়।
তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি ব্রেকিং আপডেটে জানায়, ঢাকার আদালত শেখ হাসিনা এবং তার এক সহযোগীর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতের এনডিটিভি শিরোনাম করেছে— “মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড”। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ, তিনটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং গত বছরের সহিংস দমন-পীড়নের ফলেই তার সরকার পতন ঘটে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ— বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর নেতৃত্বে— একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করে। আদালত জানিয়েছে, তিনজনই পরস্পর যোগসাজশে বিক্ষোভকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম দিয়েছে— “শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডই দিল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল! রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ল আদালতকক্ষ”। তাদের প্রতিবেদনে রায় ঘোষণার পুরো ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।