অলৌকিক কিছু না ঘটলে কিংবা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের জয় স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। তৃতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৪৫ রান। যদিও আলোকস্বল্পতায় ২০ ওভার কম খেলা হয়েছে গতকাল।
জয়ের জন্য তাদের এখনো প্রয়োজন ৬১৭ রান! যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব ব্যাপার। পাহাড়সম টার্গেট তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ইব্রাহিম জারদান (০)। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি।
আফগানদের চাপে রাখতে স্লিপে পাঁচ ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেইসঙ্গে কখনো ছিল এক গালি এবং এক শর্টলেগ। সব মিলিয়ে কিপারসহ ৮ জন! দ্বিতীয় ওভারেই শিকারীর ভূমিকা নেন তাসকিন। তার বলে আব্দুল মালিক (৭) ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে।
১২ রানে নেই ২ উইকেট। ৬ষ্ঠ ওভারে তাসকিন আহমেদের ভয়ংকর এক বাউন্সার হেলমেটে লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি (১৩)। পরে অলোকস্বল্পতায় বিকাল ৫টার দিকে তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টানা হয়। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান।
রহমত শাহ ১০* আর নাসির জামাল ৫* রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ৪ উইকেটে অবশেষে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের লিড ছিল ২৩৬ রানের। তাই জয়ের জন্য আফগানদের টার্গে দাঁড়ায় ৬৬২ রান! নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ১৫১ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১২৪ রান। অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল হক (১২১*)। এছাড়া জাকির হাসান ৭১, লিটন দাস অপরাজিত ৬৬* রান করেন।