১৩ বছর পর রেকর্ড মূল্যস্ফীতি নিয়ে শেষ হওয়া অর্থবছরের পুরো সময়টাই ছিল নিত্যপণ্যের চড়া দাম। নতুন অর্থবছরের শুরুতেও মিলছে না স্বস্তি। চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন সংকটও নেই খুব একটা। তারপরও হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। খুচরায় গিয়ে যা ঠেকেছে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
কারওয়ান বাজারের আসা ক্রেতারা জানান, তরকারি তো খেতেই হবে। পেঁয়াজ ছাড়া কি রান্না করা যায়। সরকার যদি তদারকি করে তাহলে জনগণের জন্য ভালো হয়। এত দাম দিয়ে তো চলা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ক্রেতাদের জন্য সব পণ্য কেনাই কষ্টকর হয়ে গেছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, বাহিরের পেঁয়াজ যদি কমে কেনা যায় তাহলে বিক্রিও কমে করা যায়। ৯০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
অন্য সময়ের তুলনায় বছর এই সময়টায় সরবরাহ কম থাকে কাঁচা মরিচের। তবে বৃষ্টির অজুহাতে বাড়তি সেই পণ্যটির দামও। দিনের ব্যবধানে কেজিতে কিছুটা কমে কারওয়ান বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যবাজারগুলোতে তা উঠে গেছে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা মরিচ বিক্রেতা জানান, বর্ষার সময়ে কাঁচা মরিচের দাম বাড়েই। এবার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বেড়েছে।
এক ধরণের মরিচ আছে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা এছাড়া আরেক ধরণের মরিচ আছে সেটা ৪০০ টাকার বেশিও বিক্রি হচ্ছে। কারণ সেই মরিচের ঝাল বেশি। তবে দাম বৃদ্ধির পেছনে বাড়তি উৎপাদন খরচ, পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়া, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব ও রাস্তায় চাঁদাবাজিসহ নানা সংকটের কথা জানালেন এই কাঁচামাল ব্যবসায়ী নেতা। বললেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে দাম কমবে কিছুটা।
কাঁচামাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, আমাদের দেশে বর্ষার সময়ে বরাবরেই সব কিছু সংকট থাকে। তবে এই বছর অতি বৃষ্টির কারণে সংকট একটু বেশি হয়ে গেছে। ফলে সরবরাহ কম চাহিদা বেশি। এর জন্য খরচ একটু বাড়ে। আর বিশেষ করে এখন উৎপাদন খরচও একটু বেশি। দাম নিয়ন্ত্রণে টেকসই বাজার ব্যবস্থাপনা আর বাজার তদারকি বৃদ্ধির দাবি সাধারণ মানুষের।