বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশকালঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:১৮ অপরাহ্ণ ২২৯ বার পঠিত
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের

বাংলাদেশের  নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন জেমস নিশাম। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ৩টি, মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরতেই অফ স্পিনার মাহেদি হাসানের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন প্রায় ১৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহেদি। রানের খাতা খোলার আগেই নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টিম সেইফার্ট শিকার হন মাহেদির।

দ্বিতীয় ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ১ রান করে ফিরেন ওপেনার ফিন অ্যালেন।


অ্যালেনের বিদায়ের উইকেটে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই লেগ বিফোর আউট হন গ্লেন ফিলিপস। নন-স্ট্রাইকের আম্পায়ার আউট না দিলে, রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। সেইফার্টের মত খালি হাতে ফিরেন ফিলিপসও।

পরপর দুই বলে অ্যালেন ও ফিলিপসকে শিকার করে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারকে  হ্যাট্টিকের স্বাদ নিতে দেননি মার্ক চাপম্যান। দ্বিতীয় ওভারে ১ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানে ৩ উইকেট হারানোর প্রথম ঘটনা কিউইদের।

শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন চাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল। জুটিতে ১৯ বলে ১৯ রান যোগ হবার পর বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মাহেদি। ২টি চারে ১৪ রান করা মিচেলকে বোল্ড করেন মাহেদি। এতে পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। 


পঞ্চম উইকেটে ২৮ বলে ৩০ রানের জুটিতে দলের স্কোর ৫০এ নেন চাপম্যান ও জেমস নিশাম। ১০ম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসেই জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম হাসানকে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ১৯ রান করা চাপম্যান। 

৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বোলারদের উপর আগ্রাসী হন নিশাম ও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ১১ ও ১২তম ওভারে ৯ রান করে নেওয়ার পর তানজিমের করা ১৪তম ওভারে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ রান তুলেন তারা।

১৫তম ওভারে তৃতীয়বারের মত আক্রমনে এসে বাংলাদেশকে আবারো  উইকেট উপহার দেন শরিফুল। সৌম্যর দারুন ক্যাচে বিদায় ঘটে ২টি চারে ২২ বলে ২৩ রান করা স্যান্টনারের। নিশাম-স্যান্টনার  ৩১ বলে ৪১ রান যোগ করেন ।


স্যান্টনার ফেরার পর ১৬তম ওভারে রিশাদের বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১১ রান তুলে দলের স্কোর ১শতে নেন নিশাম। পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ছক্কা মারার পরের বলে সাজঘরে ফিরেন নিশাম। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৯ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন নিশাম।

দলীয় ১১০ রানে নিশাম ফেরার পর শেষ দিকে এডাম মিলনের ২টি ছক্কায় ১২ বলে অপরাজিত ১৬ ও টিম সাউদির ৮ রানের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে কিউইরা। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এটিই সর্বনি¤œ রান নিউজিল্যান্ডের।

বাংলাদেশের শরিফুল ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩টি, ৪ ওভার করে বল করে মাহেদি ১৪ রানে ও মুস্তাফিজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন তানজিম-রিশাদ।