প্রকাশকালঃ
১৬ মে ২০২৪ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ ৯৪৩ বার পঠিত
ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন। আর তাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন পশ্চিম বাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। সিনেমার নাম ‘পদাতিক’। এ সিনেমায় মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। মৃণাল সেনের ১০১ তম জন্মদিন (১৪ মে) উপলক্ষ্যে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার টিজার। ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের টিজারে মৃণালরূপে দর্শকদের চমকে দিলেন চঞ্চল।
প্রায় দেড় মিনিটের সেই টিজারটি নিয়ে নেটিজেনরা ভাসছেন উচ্ছ্বাসে! প্রশংসা করছেন অভিনেতা চঞ্চলের। শুধু কলকাতার দর্শকরাই নয়, বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা ‘পদাতিক’ এর প্রশংসা করছেন। টিজার প্রকাশের পর চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আমার জীবনে কোনো চরিত্রের জন্য এত স্ট্রাগল করতে হয়নি। কারণ আমি যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করি বা যেভাবে চরিত্র হয়ে উঠি; সেগুলো থেকে মৃণাল সেনের চরিত্র আলাদা। ওই মানুষটিকে হুবহু ধারণ করা তো সম্ভব নয়। আর দেখতে এক রকম হলেও কিছু যায়-আসে না। হুবহু দেখতে অনেক মানুষ আছে।
ট্রিজার থেকে স্পষ্ট মৃণাল সেনের শৈশব থেকে সিনেমায় আসার গল্প, নির্মাণ ও তার ব্যক্তিজীবনের গল্প ‘পদাতিক’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। টিজারের প্রথমেই উঠে এসেছে বাইশে শ্রাবণের ঘটনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষযাত্রায় শামিল হতে রাস্তায় নেমেছিল লাখো জনতা। সেই ভিড়ে অসহায় এক লোক তার শিশুর মরদেহ নিয়ে এসেছেন দাহ করতে। কিন্তু এত মানুষের মধ্যে সুযোগই পাচ্ছে না শ্মশান পর্যন্ত পৌঁছানোর। একপর্যায়ে মানুষের ভিড়ে লোকটা হারিয়ে ফেলে নিজের সন্তানের লাশ। দূর থেকে অসহায় চোখে এ দৃশ্য দেখেন তরুণ মৃণাল। বিভিন্ন লেখায় এ ঘটনার কথা বহুবার বলেছিলেন মৃণাল সেন।
মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীকে নেয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেছিলেন, দুজনের মুখের মিল আছে। মৃণাল বাবুর মতোই চঞ্চলের চোখের দৃষ্টি অত্যন্ত ধারালো ও সজাগ। তাছাড়া মৃণাল বাবুর রাজনীতি চেতনা, তার যাপন ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও চঞ্চলের প্রচুর মিল। পদাতিকে চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনামি ঘোষ। তাকে এ সিনেমায় দেখা যাবে মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে। পদাতিকে মৃণাল সেনের যৌবনের অংশটির রূপ দেবেন কোরক সামন্ত। মৃণাল পুত্র কুনাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন সম্রাট চক্রবর্তী। সিনেমাটি শিগগির মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা।