এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আলোচনায় নিউইয়র্কের পিচ। যে পিচে রান করাই কঠিন হচ্ছে। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনাপের মতো দলও পাকিস্তানের সাথে ম্যাচে ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি। সেই রান তাড়া করে আবার জিততে পারেনি পাকিস্তান। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও বড় রান ওঠেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১১৩ রান। বাংলাদেশও প্রায় জিতেই যাচ্ছিল কিন্তু মাত্র ৪ রানে হারতে হল। আসলে এই মাঠের পিচ টাই এমন কোন দলেরই বেশি রান উঠছে না।
এই পিচ অনেকটা বাংলাদেশের মিরপুরের মতো।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার মনে করেন নিউ ইয়র্কের পিচ বোলারদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। তিনি বলেন, “সব ব্যাটারেরা এখান থেকে পালাতে চাইবে। বোলারেরা যদিও থাকতে চাইবে। তবে আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি। এখানে তিনটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছি। খুব কঠিন কাজ ছিল।”
বাংলাদেশের সাথে ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্লাসেন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ১১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লে-তে ২৩ রানে ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন ক্লাসেনই। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ডেভিড মিলার আগের ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছে কী ভাবে এই পিচে খেলা উচিত। এক দিনের ক্রিকেটের মতো করে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার মতো মানসিকতা নিয়ে খেললে হবে না এখানে। ক্রিজ়ে থিতু হওয়ার পর বল প্রতি রান করার চেষ্টা করতে হবে। এর মাঝে একটা, দুটো বলে বড় শট খেলার সুযোগ পাওয়া যাবেই। তখন স্ট্রাইক রেট বেড়ে যাবে।”
ক্লাসেন জানিয়েছেন যে, তিনি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছেন। তিনি বলেন, “রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছি। দুটো বড় দলও বেশি রান করতে পারেনি। এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। মাঠে নেমেই বড় শট খেলতে গেলে হবে না। আমরা তাই ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নিয়ে খেলছিলাম। তবে শেষ তিন ওভারে টি-টোয়েন্টির মতো করে খেলেছি।”