গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড: তহবিল বরাদ্দের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশকালঃ ১৪ মে ২০২৪ ০২:৩৫ অপরাহ্ণ ৬৬৩ বার পঠিত
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড: তহবিল বরাদ্দের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

ঢাকা প্রেসঃ
বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বরাদ্দের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, জিসিএফ স্বীকৃত ‘তহবিল পাওয়ার যোগ্য’ ১৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি (১৬ দশমিক ২ শতাংশ) দেশ প্রকল্প পায়নি: এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ ৯৬টি দেশের মধ্যে ৮টি দেশ প্রকল্প পায়নি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) কর্তৃক তহবিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

 

নীতি লঙ্ঘন: জিসিএফ তাদের নিজস্ব নীতি লঙ্ঘন করে 'তহবিল পাওয়ার যোগ্য' ১৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশকে (১৬.২%) বাদ দিয়েছে। এই বাদপ্রাপ্ত দেশগুলোর অধিকাংশই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের।

অনুদান প্রাধান্য: জিসিএফ ঋণের চেয়ে অনুদানের প্রতি বেশি আগ্রহী, যার ফলে অভিযোজন প্রকল্পগুলোতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বেশি।

অসম বরাদ্দ: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রেই ৫০:৫০ অনুপাতে অর্থ বরাদ্দের লক্ষ্য থাকলেও, গত ৮ বছরে এ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

জাতীয় প্রতিষ্ঠানের অগ্রাহ্যতা: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অভিযোজনের অর্থায়নের বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে, জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

অর্থ ছাড়ে বিলম্ব: বাংলাদেশে জিসিএফ তহবিলের ৯টি প্রকল্পের মোট অনুমোদিত অর্থের মাত্র ১৩.৩% ছাড় করা হয়েছে। তাও একটি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়েছে অনুমোদনের তিন বছর পর।

অপ্রতুল অর্থায়ন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের ২০২৫ সালের মধ্যে মোট ১২ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ১৮৯.৫ কোটি ডলার পেয়েছে, যা মোট চাহಿದার মাত্র ৯.৯%।

টিআইবি'র দাবি:

  • জিসিএফ তাদের নীতিমালা মেনে চলুক এবং 'তহবিল পাওয়ার যোগ্য' সকল দেশকে অর্থায়ন প্রদান করুক।
  • ঋণের চেয়ে অনুদানের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনুক এবং অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রেই ৫০:৫০ অনুপাতে অর্থ বরাদ্দের লক্ষ্য অর্জন করুক।
  • ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অভিযোজনের অর্থায়নে জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।
  • অর্থ ছাড়ের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক যাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব না হয়।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা হোক।