পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে সৌদি আরব। পারমাণবিক বিদ্যুতের জন্য রিয়াদের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র সাড়া না দেওয়ায় হতাশা থেকে এই পথে হাঁটছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটি। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
অজ্ঞাত সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সীমান্তের কাছে সৌদি আরবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন (সিএনএনসি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি কর্মকর্তারা আশা করছেন চীনের প্রস্তাবের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বা নিজস্ব ইউরেনিয়াম মজুত না করার প্রতিশ্রুতিসহ রিয়াদের নতুন পারমাণবিক শিল্পকে সহায়তা করার শর্তগুলো শিথিল করতে চাপ দেবে। চীন রিয়াদকে এই ধরনের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার জন্য হয়তো বাধ্য করবে না।
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্যে এসব শর্তারোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও সিএনএনসি এবং চীন ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। সৌদি আরব ও চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সম্পর্ক গভীর করেছে। এতে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বাড়েছ।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি আরব সফর করেন। দুই দেশ জুন মাসে রিয়াদে দুই দিনের আরব-চীন বাণিজ্যিক সম্মেলনে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা করেছিল।