হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবায় ইসলামী ব্যাংক

প্রকাশকালঃ ১৬ মে ২০২৪ ০১:৩৯ অপরাহ্ণ ৫৪৭ বার পঠিত
হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবায় ইসলামী ব্যাংক

হজ ক্যাম্প দূর থেকে আসা হজযাত্রীদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় এই ক্যাম্প। সামাজিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে হজযাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে ইসলামী ব্যাংক। প্রতি বছর আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজ-বুথ স্থাপনের মাধ্যমে হজযাত্রীদের ব্যাংকিং সেবা, তথ্য ও হজে ব্যবহার উপযোগী উপহার দিয়ে থাকে।


ব্যাংকিং সেবার মধ্যে হজযাত্রীদের বাংলা টাকার বিনিময়ে সৌদি রিয়াল সরবরাহ করা, ডেবিট ও খিদমাহ কার্ড এন্ডোর্সমেন্ট করে দেওয়া হয়। হজযাত্রীরা যাতে সহজে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেন সে জন্য ইসলমী ব্যাংক এটিএম স্থাপন করে থাকে। ভিসা সুবিধাযুক্ত অন্য ব্যাংকের কার্ডধারীরাও এখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। ডেবিট ও খিদমাহ কার্ড এন্ডোর্সমেন্টের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সৌদিআরবে ভিসা লোগো সম্বলিত যেকোন বুথ থেকে রিয়াল উত্তোলন করতে পারে।


হজযাত্রীদের ব্যাংকিং সংক্রান্ত সব তথ্য সরবরাহ করা হয়। আগত হজযাত্রীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে। সেবা গ্রহণকারীদের ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ছাতা, হ্যান্ডব্যাগ, জুতোর ব্যাগ ও মিনায় পাথর নিক্ষেপের জন্য পাথর রাখার ব্যাগ প্রদান করা হয়। হজ পালনের নিয়মাবলী ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত লিফলেট ও হজ গাইডলাইন প্রদান করা হয়।


এছাড়াও পবিত্র হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের হজ পরিপালনে আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ‘হজ্জ সঞ্চয় প্রকল্প’ চালু করেছে। মুদারাবা হজ সেভিংস অ্যাকাউন্ট (এমএইসএসএ) বিশেষ এই সঞ্চয় হিসাবটি হজ পালনের উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের জন্য সাজানো হয়েছে। এ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহক তাদের হজ্জ পালনের জন্য ধীরে ধীরে অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন এবং এটি তাদের হজ পালনের জন্য আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।

 

এ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সঞ্চিত অর্থ হজ্জ পালনের বিভিন্ন খরচ যেমন, ভিসা, বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচের জন্য ব্যবহার করা যায়। গ্রাহক তার সামর্থ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এক থেকে ২৫ বছর মেয়াদি মুদারাবা হজ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

 


মুদারাবা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ মুনাফা প্রদান করা হয় এ হজ অ্যাকাউন্টে। পরিকল্পনা ও আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী হিসাবের মেয়াদের ভিত্তিতে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত হয় বিধায় গ্রাহকের কাছে হজের জন্য টাকা জমানো অধিকতর সহজ। জমাকারী যদি পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই হজ সম্পাদনে আগ্রহী হন তাহলে তিনি তাঁর মুদারাবা হজ্জ সঞ্চয় হিসাবে জমাকৃত অর্থের সঙ্গে ওই বছর নির্ধারিত হজের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ পালন করতে পারবেন।

 

ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্ট আউটলেটে মুদারাবা হজ্জ সেভিংস অ্যাকাউন্ট (এমএইসএসএ) খোলা যায়। হিসাব খোলার জন্য হিসাবধারী ও নমিনির এক কপি করে মোট দুই কপি সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টের কপি দিয়ে এ হিসাব খোলা যায়। সেলফিন ব্যবহার করেও গ্রাহক নিজে নিজে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

 

মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে টাকা পরিশোধ করা যায়। সঞ্চয়ী হিসাব থেকে হজ হিসেবে মাসিক কিস্তির টাকা স্থানান্তরের জন্য ‘বিশেষ নির্দেশনা’ প্রদানের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা যায়। ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণধর্মী এ সঞ্চয় প্রকল্প ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনেক গ্রাহক ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিতে হিসাব পরিচালনা করে হজ সম্পন্ন করেছেন।