|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৪ মার্চ ২০২৫ ১১:০২ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৪ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৯ অপরাহ্ণ

এসবিইউকের ২০ লাখ পাউন্ড লভ্যাংশ বিতরণের মাইলফলক অর্জন


এসবিইউকের ২০ লাখ পাউন্ড লভ্যাংশ বিতরণের মাইলফলক অর্জন


সোনালী বাংলাদেশ ইউকে লিমিটেড (এসবিইউকে) ২০ লাখ পাউন্ড লভ্যাংশ বিতরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তার বাংলাদেশের শেয়ারহোল্ডার অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসিকে যথাক্রমে ৫১% ও ৪৯% লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এসবিইউকের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্থিতিশীলতা, কৌশলগত পুনর্গঠন, বাংলাদেশের প্রতি আস্থা এবং নিয়মিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রতিফলন।
 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মুবারেকের সঙ্গে বৈঠক করেন এসবিইউকের চেয়ারম্যান মো. আশাদুল ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মো. মুসলিম চৌধুরী। বৈঠকে লভ্যাংশ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া অতীতের চ্যালেঞ্জ এবং ব্যাংকিং লাইসেন্স হারানোর ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং এসবিইউকের ঐতিহাসিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়।
 

এ সময় সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও মো. শওকত আলী খান, এসবিইউকের সিইও মাসুম বিল্লাহ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস ও যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ উপস্থিত ছিলেন।
 

এছাড়া, সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এসবিইউকের চেয়ারম্যান মো. আশাদুল ইসলাম। তারা এসবিইউকের কৌশলগত দৃষ্টি এবং যুক্তরাজ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
 

প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য পূর্ণসেবা ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এসবিইউকে। তবে ১৯৯৯ সালে বিদেশি শাখার লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি সোনালী ট্রেড অ্যান্ড ফাইন্যান্স ইউকে লিমিটেড হিসেবে পুনর্গঠিত হয়। ২০০১ সালে সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেড নতুন ব্যাংকিং লাইসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করে, যদিও পরবর্তীতে ব্যাপক রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
 

২০১৬ সালে ব্যাংকটিকে ৩.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ৩৩.৪৭ মিলিয়ন পাউন্ড মূলধন প্রবাহিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওয়াচলিস্ট থেকে বের হয়। তবে ২০২২ সালে প্রুডেনশিয়াল রেগুলেটরি অথোরিটির মাধ্যমে ব্যাংকিং লাইসেন্স বাতিল হলে এসবিইউকে নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনে রূপান্তরিত হয় এবং সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ ইউকে লিমিটেড নামে পরিচিত হয়।
 

এই রূপান্তরের পর এসবিইউকে অসাধারণ আর্থিক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড প্রি-ট্যাক্স মুনাফা অর্জন করে, যা ২০২৩ সালে ৮ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালে ট্রেড ফাইন্যান্স থেকে আয় প্রতি মাসে ১ মিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে যায়, ফলে প্রতিষ্ঠানটি মোট ১ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করতে সক্ষম হয়, যা বছরে ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
 

অপারেটিং খরচও ২০২৩ সালে ৩৭৭ মিলিয়ন পাউন্ডে নামিয়ে আনা হয়, যা পূর্বাভাসকৃত বাজেটের তুলনায় ৪% কম এবং বছরে ৭% হ্রাস পেয়েছে। এসব অগ্রগতির ফলে এসবিইউকে তার শেয়ারহোল্ডারদের ২ মিলিয়ন পাউন্ড ডিভিডেন্ড দিতে সক্ষম হয়েছে, যা স্টেকহোল্ডারদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের টেকশই মান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫