 
                            
তীব্র গরমে জমজমাট এয়ারকুলার, ফ্যান, এসির বাণিজ্য। তবে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যগুলো কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। তীব্র গরমে নগরজীবন যখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে, তখন তাপদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফ্যান, এয়ার কুলারসহ নানা ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের বিক্রিও এখন তুঙ্গে। উচ্চবিত্তের পাশাপাশি গরম থেকে রক্ষা পেতে মধ্যবিত্তরাও ঝুঁকছেন এসির প্রতি।
রাজধানীর দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান, স্ট্যান্ড ও চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে এয়ারকুলার। বছর ব্যবধানে এসবের বিক্রিও বেড়েছে ৩০ শতাংশ। গরমের সঙ্গে দামের ভারে নাকাল ক্রেতারা। অন্যদিকে, বছর ব্যবধানে মানভেদে ফ্যানের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে হাজার টাকা। আর এয়ারকুলারের ক্ষেত্রে তা ছাড়িয়েছে ২ হাজারের ঘর।
সমানতালে বেড়েছে এয়ারকন্ডিশনের বিক্রিও। ব্যবসায়ীরা জানান, গরমের সঙ্গে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফারের কারণে উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও এখন ঝুঁকছেন এসি কিনতে। বছরের এ সময়টায় এসি বিক্রি বেড়ে যায় ৫০ থেকে ৭০ গুণ। এমন বিক্রি চলতে থাকলে সরবরাহ সংকটের শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদাকে পুঁজি করে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলার সংকটসহ নানা কারণে বাড়াতে হয়েছে পণ্যের দাম। এক ক্রেতা বলেন, দেশে ব্যাপক গরম। এজন্য ছোট একটা ফ্যান কিনেছি। আরেকজন বলেন, প্রেশার তো একটু পরেই, বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের হিসেবে, দেশে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ ইউনিট এসি বিক্রি হয়। আর ফ্যান কিংবা এয়ারকুলারের সংখ্যাটা এ ক্ষেত্রে দ্বিগুণ।
 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                                
                                                