প্রধানমন্ত্রী গুণগত মানের চা রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন

প্রকাশকালঃ ০৪ জুন ২০২৪ ০১:৩০ অপরাহ্ণ ৬৫৫ বার পঠিত
প্রধানমন্ত্রী গুণগত মানের চা রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুণগত মানের চা রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য তীব্র আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ভালো দামে বেশি চা রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, "আমাদের উচ্চমানের চা উৎপাদন করতে হবে এবং বিশ্ববাজারে আমাদের চা বিক্রি করতে হবে। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে এবং আমাদের চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।"

 

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চা উৎপাদনকারী দেশ। প্রতি বছর দেশে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি টন চা উৎপাদিত হয়। তবে, বেশিরভাগ চাই কম দামে রপ্তানি করা হয়।সরকার চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। চা উৎপাদকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত চা পাতা উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চা বিপণনের জন্য সহায়তা করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন যে সরকারের এই উদ্যোগ গুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে একটি প্রিমিয়াম চা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে পারবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণ, যেমন বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা ও রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাগান মালিকদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি চা শ্রমিকদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং ভোটাধিকার প্রদান করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের চা শিল্প এখন টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে। চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বড় বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতল ভূমিতে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে পঞ্চগড় জেলায় প্রথম চা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চা চাষে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। চা চাষের ফলে এসব জেলায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এ অঞ্চলের চা শিল্পের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৩ সালে সরকার পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু করে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দৈনিক মজুরি বৃদ্ধিসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ভাতা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ হলো স্মার্ট অর্থনীতি। আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পে স্মার্ট কমার্স বাস্তবায়ন ও বহুমুখী রপ্তানি বৃদ্ধিতে উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় চা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।