গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রকাশকালঃ ০৯ মে ২০২৪ ০৪:১৭ অপরাহ্ণ ৭৭৪ বার পঠিত
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে এসব বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত।

 

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনির রক্ত কোন ভাবেই বৃথা যাবে না বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ইসরাইলি বর্বর বাহিনী ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার নিরাপরাধ গাজাবাসীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। মূলত ইসরাইলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে।

 

মূলত, গাজায় জায়নবাদীরা যা করছে তা রীতিমত যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাই বর্বর ইসরাইলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মূখীন হতে হবে। তিনি অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তজার্তিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় বিশ্বমুসলিম ঘরে বসে তামাশা দেখবে না। তিনি আরও বলেন, মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে।

 

কিন্তু ইহুদীবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরাপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি তারা রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। তাই ইহুদীবাদীদের এই নির্মমতা বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার মুখে বিরোধী হলেও তারা মূলত ইসরাইল বান্ধব সরকার। তারা ইসরাইল থেকে অস্ত্র আমদানি করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করছে। তারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী দেশে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন করেছে। তারা জাতীয় নেতা ও আলেম-উলামাদের ওপর ব্যাপক নির্মম নির্যাচন চালাচ্ছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈচাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আর কারও হবেও না।