এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোড বাংলা ব্যান্ড দলের নামে!

প্রকাশকালঃ ০৩ জুলাই ২০২৪ ০১:১১ অপরাহ্ণ ৫২৬ বার পঠিত
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোড বাংলা ব্যান্ড দলের নামে!

সত্তর-আশির দশকে নানা সমালোচনায় জেরবার হয়ে রীতিমত কোণঠাসা ছিল রকসংগীত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে এই চালচিত্রে। এখন আর সেই বিভাজন নেই। দেশের জনপ্রিয় ধারার সংগীতে পরিণত হয়েছে ব্যান্ডসংগীত। তারই ছোঁয়া পাওয়া গেল এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে।    

সিলেট বাদে বাকি সাতটি বিভাগে গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মধ্যদিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা কার্যক্রম। এবার লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা! কারণ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামে! যা এখন রীতিমতো সমাজ মাধ্যমেও ভাইরাল।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, এইচএসসি’র ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন কোড ছিল ক্যাকটাস (কলকাতা), রাজশাহী বোর্ডে লালন, চট্টগ্রাম বোর্ডে মাইলস, ময়মনসিংহ বোর্ডে পরশপাথর (কলকাতা), কুমিল্লা বোর্ডে পেন্টাগন, বরিশাল বোর্ডে অবসকিউর, যশোর বোর্ডে প্রমিথিউস ও দিনাজপুর বোর্ডের প্রশ্নে মেঘদল ব্যান্ডের নাম।


 
এ ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নেপত্রে ফিডব্যাক, ওয়ারফেজ, আভাস, চিরকুট ও অ্যাশেজ ব্যান্ডের নামও দেখা গেছে। যা নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট ব্যান্ডগুলোর সদস্যদেরও। এসব প্রশ্নপত্র শেয়ারও করছেন তারা। প্রশ্নপত্রগুলো শেয়ার করে মেঘদল ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল শিবু কুমার শীল লেখেন, ‘২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন‌ কোডে ‘মেঘদল’! বেশ মজা পেলাম ব্যাপারটায়। আরো অনেক ব্যান্ডের নাম ব্যবহৃত হয়েছে প্রশ্নকোডে।


অ্যাশেজ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট জুনায়েদ ইভান লিখেছেন, ২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন‌ কোড সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামকরণ দিয়ে। এবার প্রশ্নের সেট সাজানো হয়েছে অ্যাশেজ এবং মাইলস, ওয়ারফেজ, চিরকুট, লালন, আভাস, অবসকিউর ব্যান্ডের নাম দিয়ে। নিশ্চয়ই বাংলা ব্যান্ডের জন্য এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে। ব্যান্ড আভাস’র পেজ থেকেও শেয়ার করা হয়েছে সেসব প্রশ্নপত্র। মজার ছলে তারা লিখেছেন, ‘আপনার সেট কোনটি?’

 

ব্যান্ডের নাম দিয়ে এভাবে প্রশ্নকোড সাজানোকে সাধুবাদ জানিয়ছেন সংগীতাঙ্গনের অনেকে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মাইলস’র ভোকালিস্ট হামিন আহমেদ বলেন, ব্যান্ডের গানগুলোকে শ্রোতারা যেভাবে হৃদয়ে ধরে রেখেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে এগুলো কালজয়ী গান। সৃষ্টিশীলতার পরিষ্কার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। বাণিজ্যিক শিল্প যেভাবে এগোয়, সেটারও প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। ব্যান্ডের গান ও ব্যান্ড অন্তরের অন্তস্তলে যখন জায়গা করে নেয়, তখনই এটা সম্ভব।