টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল শহরের বাসায় গতকাল রাত ২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় থাকা সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে ধাওয়া চালিয়ে দুটি গাড়ি ও কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে।
রোববার দুপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার এই ষড়যন্ত্রে জড়িত কি না, তা আমি বলতে পারি না। কিন্তু যদি আমার মতো সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির বাড়িতেই হামলা হয়, তাহলে দেশের কারও বাড়িই নিরাপদ নয়।”
বাসার কেয়ারটেকার রাজু মিয়া জানিয়েছে, রাতের ঘটনার সময় কাদের সিদ্দিকী তৃতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। হামলাকারীরা প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, পরে মই ব্যবহার করে গেট টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা নিচে থাকা দুই গাড়ি ভাঙচুর করে এবং কিছু জানালার কাঁচ ঢিল মেরে ভেঙে ফেলে। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন অংশগ্রহণ করেছিলেন। আলোচনার পরে সেখানে মব তৈরি করে ১৬ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীসহ তাদেরকে মব তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, এই ঘটনা দিয়ে দেশের সব অনৈতিক হামলা বন্ধ করতে হবে। সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের মানুষকে বলছি, এই অন্যায় রুখে দাঁড়ান, না হলে পরবর্তী প্রজন্মের জীবন ও সম্পদ বিপদের মুখে পড়বে।”
এদিকে বাসাইলে শহীদ মিনারে কাদেরিয়ার বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই স্থানে ছাত্রসমাবেশও আহ্বান করা হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনভিপ্রেত ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং শহীদ মিনার ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।