উপাধ্যক্ষের মৃত্যুর পর ‘জোর করে পদত্যাগ’ করানোর ঘটনা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশকালঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪০ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
উপাধ্যক্ষের মৃত্যুর পর ‘জোর করে পদত্যাগ’ করানোর ঘটনা নিয়ে আলোচনা

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

চট্টগ্রাম নগরের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ এস এম আইয়ুব (৫৯) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 

তার মৃত্যুতে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে তাকে ‘জোর করে পদত্যাগ’ করানোর ঘটনাটি পুনরায় আলোচনায় উঠে এসেছে। শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশের পাশাপাশি এ ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
 

মৃত্যুর পরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে স্ট্রেচারে করে তার মরদেহ বের করা হচ্ছে। চারপাশে স্বজন, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।


জানা যায়, শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে এস এম আইয়ুবকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজের কিছু শিক্ষার্থী বেতন কমানো, আইডি কার্ড প্রদানসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর উপাধ্যক্ষ এস এম আইয়ুবের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। সই দেওয়ার পরপরই তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ৩৩ বছর ধরে এই কলেজে শিক্ষকতা করা এই শিক্ষক সেই ঘটনার পর আর শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসেননি।
 

এরপর, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত সোমবার কলেজ পরিচালনা কমিটির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে অ্যাডহক কমিটির মিটিং না হওয়ায় তার পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি।


কলেজের অধ্যক্ষ চয়ন দাশ বলেন, “এস এম আইয়ুবের কোনো বড় রোগ ছিল না। জোর করে পদত্যাগের ঘটনার পর থেকেই তিনি আর ক্লাস নেননি। ১৮ নভেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছিলেন। তিনি অত্যন্ত ভালো শিক্ষক ছিলেন।”
 

এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তারা উপাধ্যক্ষের প্রতি সম্মান জানিয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।