ঢাকা প্রেস নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৮ জুলাই) চার দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন। যার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। ৮ থেকে ১১ জুলাই তার এই সফরে ঢাকা-বেইজিং উভয়পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে।
অর্থনীতি এবং উন্নয়ন: পায়রা বন্দর: দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বেইজিংয়ের সহযোগিতা। ঋণ: চীন ৫০০ কোটি ডলার সমমূল্যের ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। ঋণের সুদের হার কমানোর অনুরোধ করবে বাংলাদেশ। মেট্রোরেল-২: প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: ৭ টি চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি।
২ টি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনার জন্য পাইপলাইন স্থাপন। ডিজিটাল লেনদেন: নগদের সাথে চীনা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি। রোহিঙ্গা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা।
অন্যান্য বিষয়: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি। কৃষি: কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা। শিক্ষা: শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক বিষয়: আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা। রিজার্ভ: রিজার্ভ সঙ্কট মোকাবিলায় চীনের সহায়তা।
বিশ্লেষকদের মতামত: আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক বেইজিং-দিল্লি ও বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল। গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: চীন বাংলাদেশের একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক অংশীদার। এবারের সফরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
উল্লেখযোগ্য: প্রধানমন্ত্রী ৮ জুলাই বেইজিং পৌঁছাবেন। ৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক। ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট স্পিকারের সাথে বৈঠক। একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সাথে যাবে।