ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কাবু হতে না চাইলে করণীয়

প্রকাশকালঃ ২৩ আগu ২০২৩ ০৩:১৫ অপরাহ্ণ ১৮৩ বার পঠিত
ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কাবু হতে না চাইলে করণীয়

ময়টা অসুস্থতার। আচমকা আবহাওয়া বদলে যায়। কখনও রোদ আর কখনও বৃষ্টি। আর এই সময়ে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯ ভাগ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়, যাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হয়ে থাকে। আর ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর সারা বিশ্বে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মারা যায়। বর্ষা ও শীত—এই দুই ঋতু শেষে এটা তীব্র হয়।

ফ্লু হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি অত্যন্ত সংক্রামক অসুখ; এতে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হয়। ফ্লুর লক্ষণগুলো সাধারণত প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে গুরুতর লক্ষণগুলো কেবল দুই থেকে তিন দিনের জন্য দেখা যায়। যেমন জ্বর, কাশি, গলা-ব্যথা ও গায়ে ব্যথা।


ইনফ্লুয়েঞ্জাতে কাবু হতে না চাইলে করণীয়

ফ্লু দ্রুত কাটিয়ে ওঠার সর্বোত্তম উপায় হলো বিশ্রাম নেওয়া ও হাইড্রেটেড থাকা। 

ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরের সময় ও শক্তি প্রয়োজন, যার অর্থ হলো আপনার দৈনন্দিন রুটিন রাখা উচিত। যেমন প্রতিদিন সকালে বাইরে যাওয়ার আগে গরম পানি লবণ দিয়ে গার্গল করা, ঠিক তেমনি বাসায় ফিরে আবার গার্গল করা।

ফ্লুর একটি উপসর্গ হলো উচ্চ জ্বর, যা ঘাম হতে পারে। বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে; তাই আপনার শরীরের হারানো তরল প্রতিস্থাপনের জন্য প্রচুর পরিমাণে তরল প্রয়োজন ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা আবশ্যক।

ফ্লুতে আক্রান্ত হলে দুটি জিনিস আপনার সব সময় এড়ানো উচিত—প্যাকেটজাত ও বাইরের কেনা খাবার, দুধজাতীয় সব খাবার, সঙ্গে দুধ চা–ও।

ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় আপনার শরীরের জন্য ঘুম হলো সেরা ওষুধ। ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে ফ্লু এর নেতিবাচকতা থেকে রেহাই মিলবে। 

ফ্লুর সময় তাজা ফল আনারস, আমড়া, লটকন, পেয়ারা খুব ভালো ও সবজি সেদ্ধ বা স্যুপ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই সময় আপনার খুব বেশি ক্ষুধা না–ও থাকতে পারে, তবে আপনার শক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

ফ্লুতে আক্রান্ত হলে অনেকে খেতেই চান না। এমনটি করা উচিত না। জোর না করে অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস রাখুন।