নিহত ইমরান কেরালকাতা গ্রামের ছদর উদ্দীনের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পরিবার জানায়, ২৪ আগস্ট সকালে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রিপনের ফোনে বাড়ি থেকে বের হন ইমরান। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে শেষ কথোপকথনে তিনি জানান, “বাজার থেকে মেয়ের জন্য স্কুল ব্যাগ আর ফল নিয়ে ফিরব।” এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুই দিন পর ২৬ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
ইমরানের মা আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “রিপন ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ছেলেকে পাওয়া যায়নি। আমার বিশ্বাস, তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তারা দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, ২৪ আগস্ট থেকে ইমরান নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এটি হত্যাকাণ্ড। কারা এবং কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”