সিপাহি বিদ্রোহ বা ভারতীয় বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে কোম্পানিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ১৮৫৮ সালের ২০ জুন গোয়ালিয়রে বিদ্রোহীদের পরাজয়ের পরই একমাত্র বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হয়।
সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ও ১৮৫৮ সালের গণ-অভ্যুত্থান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই বিদ্রোহ দমন করা হয় নির্মমভাবে।
সিপাহি বিদ্রোহের কারণ:
সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
সামরিক কারণগুলির মধ্যে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অসন্তোষজনক আচরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশরা সিপাহিদের বেতন কমিয়ে দেয় এবং তাদের উপর আরও কঠোর শৃঙ্খলা আরোপ করে। এতে সিপাহিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
নতুন .303 ক্যালিবারের রিভলবারের ব্যবহার সিপাহিদের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এই রিভলবারের কার্তুজগুলি গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে চিকিত্সা করা হয়েছিল, যা হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল।
সামাজিক-রাজনৈতিক কারণগুলির মধ্যে ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশরা ভারতীয়দের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে এবং তাদের উপর শোষণ ও অত্যাচার চালায়। এতে ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে।
সিপাহি বিদ্রোহের ফলাফল:
সিপাহি বিদ্রোহ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিদ্রোহের ফলে ব্রিটিশদের কর্তৃত্ব ক্ষুণ্ণ হয় এবং ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।
বিদ্রোহের ফলাফলগুলিকে নিম্নরূপে সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে:
সিপাহি বিদ্রোহের কিছু নির্দিষ্ট ফলাফল হল: