পিআর আন্দোলন ছিল জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশল: নাহিদ ইসলাম

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৩০ অপরাহ্ণ   |   ৩৫ বার পঠিত
পিআর আন্দোলন ছিল জামায়াতের রাজনৈতিক কৌশল: নাহিদ ইসলাম

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামী যে আন্দোলন করেছিল, তা ছিল পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাতুরীর অংশ—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
 

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “তথাকথিত পিআর আন্দোলনটি আসলে জামায়াতের পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল ছাড়া কিছুই নয়।”

 


 

তিনি আরও লিখেছেন, “ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া বানচাল করতেই তারা এ আন্দোলন শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল—জাতীয় সংলাপ ও জনগণের গণঅভ্যুত্থানের আলোকে রাষ্ট্র ও সংবিধানের পুনর্গঠনের প্রশ্ন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া।”
 

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক সংস্কারের দাবি উঠেছিল, তা ছিল সাংবিধানিক নিরাপত্তার একটি কাঠামো। আমরা সেই ভিত্তিতে একটি বৃহৎ জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জামায়াত ও তার মিত্ররা এই আন্দোলনের লক্ষ্য বিকৃত করে সেটিকে একটি প্রযুক্তিগত ‘পিআর ইস্যু’-তে সীমাবদ্ধ করে ফেলে। তারা এটিকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সংস্কার ছিল না, বরং কৌশলী অপব্যবহার।”
 

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামী কখনোই প্রকৃত সংস্কার আলোচনায় অংশ নেয়নি—না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কোনো গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেনি। এমনকি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিও তাদের কোনো অঙ্গীকার ছিল না।”
 

তিনি আরও যোগ করেন, “ঐক্যমত্য কমিশনে তাদের হঠাৎ সংস্কার-সমর্থন কোনো বিশ্বাসের প্রকাশ নয়; বরং এটি ছিল সংস্কারবাদের মুখোশে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ। আজ বাংলাদেশের মানুষ এই প্রতারণা বুঝে ফেলেছে। তারা আর কখনো মিথ্যা সংস্কারবাদী বা ধূর্ত শক্তির দ্বারা প্রতারিত হবে না। আল্লাহ ও জনগণ মিলেই এই দেশকে অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।”