শুনানি শেষে রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন,
“যা ১৫ বছরে হয়নি, আজ তাই হলো। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যে দলের নেতাকর্মীদের জন্য ১৫ বছর লড়েছি, আজ তারাই আমাকে ধাক্কা দিল। নির্বাচন আগেই যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে নির্বাচনের সময় কী হবে—তা অনুমেয়।”
রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসন নিয়ে শুনানি শুরু হয়। খসড়া প্রকাশের পর আসন দুটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে ইসি কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইসি সচিব আখতার আহমেদ এরপর শুনানি শেষ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্টদের কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন।
সাবেক এমপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী রুমিন ফারহানা বলেন,
“আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আমার কেস আমি নিজেই উপস্থাপন করেছি। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী ও তার লোকজন ২০-২৫ জন মিলে গুন্ডা-পান্ডার মতো আচরণ করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। কমিশনের মর্যাদার সঙ্গে এমন ঘটনা যায় না।”
সংঘর্ষে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন কর্মীও আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন—প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী, মুস্তফা সুমন ও আতাউল্লাহ।
প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন,
“রুমিন ফারহানার লোকজন আমাদের আক্রমণ করেছে। আমরা কেবল দাবি নিয়ে ইসিতে গিয়েছিলাম। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রুমিন ফারহানা পাল্টা মন্তব্য করেন,
“তারা আসলে এনসিপি-জামায়াত ছিল, নাকি গুন্ডা-মাস্তান ছিল—সেটা আমরা দেখিনি।”
শুনানি চলাকালে নির্বাচন ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ ও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। নিরাপত্তার জন্য জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
দিনের শুরুতে সিইসি সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দিলেও ক্যামেরা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।