ওমর সানীর বাসায় ডাকাতি: সন্দেহের তীর যার দিকে

প্রকাশকালঃ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
ওমর সানীর বাসায় ডাকাতি: সন্দেহের তীর যার দিকে

ঢাকা প্রেস,বিনোদন ডেস্ক:-

 

চিত্রনায়ক ওমর সানীর সময়টা ভালো যাচ্ছে না। অভিনয়ে আগের মতো তেমন দেখা না গেলেও, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সক্রিয় রয়েছেন। বর্তমানে তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে "চাপওয়ালা" নামে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন। তবে সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে আক্ষেপ করে অভিনেতা বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যদি আগে জানতেন, তাহলে তিনি এই ব্যবসায় আসতেন না।
 

তবে এর মধ্যেই, কিছুদিন আগে ওমর সানীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। আর ১৩ দিন পর, এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। এ বিষয়ে নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।
 

ওমর সানী জানান, "প্রয়োজনীয় কাজে বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে প্রবেশ করতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। চাবি ছিল ভেতরে। অনেক চেষ্টা করেও যখন পারলাম না, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার এবং আমার ম্যানেজারকে অন্য উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বারান্দা দিয়ে গিয়ে দেখতে পায়, দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখতে পান, ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো ছিল। রুমের অবস্থা দেখে মনে হলো, কয়েকজন এসে ছিল। ছিটকিনি খুলে, ভেতরে ঢুকেই দেখি, প্রয়োজনীয় অনেক ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে ছিল, দুই কোটি টাকার প্রতারণার মামলা সংক্রান্ত ডকুমেন্ট, একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকার।"
 

তিনি আরো বলেন, "আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল এবং তার রায় ঘোষণার কথা ছিল। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে। আরেকটা বিষয়, আমার বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপ ছিল, সেটা নেয়নি। মানে, তারা শুধু মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্টই নিতে এসেছিল। আমি খুবই হতবাক। মনে হচ্ছিল, এটা তো কেবল সিনেমায় সম্ভব। তবে, আমার আইনজীবীর কাছে তো সব ডকুমেন্ট আছে, তাই আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। আমি সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
 

এ ঘটনায় সন্দেহের তীর ওমর সানী তার প্রাক্তন গাড়িচালক এবং বাসার কেয়ারটেকারের দিকে ছুঁড়েছেন। তিনি বলেন, "প্রথমত, আমার ছেলের ব্যবসায় প্রতারণা করা ছেলেটি। দ্বিতীয়ত, আমার গাড়ির সাবেক ড্রাইভার ও বাসার কেয়ারটেকারকে সন্দেহ করছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।"
 

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, "ওমর সানীর অভিযোগের পর আমরা তার বাসা পরিদর্শন করেছি। তবে, তিনি ডাকাতির ঘটনায় বলছেন, এটা আসলে ডাকাতি নয়, চুরি। তবুও তার বাসা থেকে বেশ কিছু জিনিস নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আমরা দুজনকে আটক করেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।"