সিলেটে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হচ্ছে দুপুর ১টায়। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে খেলা অনিশ্চিত ছিল, তবে বেলা সাড়ে এগারোটার পরই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। রোদের দেখা মিলতেই মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় কাভার। আবহাওয়া ভালো থাকায় খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আম্পায়াররা। চা বিরতি নির্ধারণ করা হয়েছে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে।
সোমবার রাত থেকেই সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল, যা মঙ্গলবার সকালে রূপ নেয় বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টিতে। এর ফলে খেলার প্রথম সেশনটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়। তবে আবহাওয়ার উন্নতির ফলে দ্বিতীয় সেশন থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে বল।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৩ রান, ফলে সফরকারীরা পায় ৮২ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৭ রান। ওপেনার সাদমান ইসলাম মাত্র ৪ রানে বিদায় নেন। অপরপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ এবং মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে ধরেন অতীতের অনুপ্রেরণার কথা—“ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টেস্ট ম্যাচ মনে আছে? প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হলেও আমরা ফিরে এসেছিলাম। এখানেও সেরকম কিছু সম্ভব।”
মিরাজের বিশ্বাস, দ্বিতীয় ইনিংসে যদি বাংলাদেশ ৪০০ বা তার বেশি রান তুলতে পারে, তাহলে জয়ের সুযোগ তৈরি হবে। স্পোর্টিং উইকেট হলেও বড় লক্ষ্য তাড়া করা জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
প্রথম দুই দিনে মোট ছয়টি সেশন খেলা হয়েছে, এবং প্রতিটি সেশনেই বদলে গেছে ম্যাচের চিত্র। প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ছিল ৬৭/০, তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল সফরকারীরা। তবে দ্বিতীয় দিনে বল হাতে দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশ। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে বোলাররা দেন সমন্বিত পারফরম্যান্স। পেসাররা—নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ—তাঁদের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন।
৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ২৫ রানে। দিনের শুরুতেই জয় ও মুমিনুল যদি প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে কাটাতে পারেন, তবে তা হতে পারে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘সোনালি সকাল’—এমনটাই মনে করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।