বিমা, খাদ্য ও আইটি কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধিতে চাঙা ঢাকার শেয়ারবাজার

প্রকাশকালঃ ১১ জুন ২০২৩ ০১:২০ অপরাহ্ণ ১১৯ বার পঠিত
বিমা, খাদ্য ও আইটি কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধিতে চাঙা ঢাকার শেয়ারবাজার

ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ দিনের লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় বাজারের তিনটি সূচকের উত্থান হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে বিমা, খাদ্য ও আইটি খাতের কোম্পানি।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত সপ্তাহে বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মূলধনী আয়ের ওপর যে কর অব্যাহতি ছিল, নতুন আয়কর আইনে তা তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু সংসদে উত্থাপিত নতুন আয়কর আইনে সে ধরনের বিধান নেই-এই খবর ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। সে কারণে বাজার ছন্দে ফিরেছে।


আজ দিনের প্রথম ৪৫ মিনিটে লেনদেন হয়েছে ২৮১ কোটি টাকার। ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ তিনটি সূচকেরই উত্থান হয়েছে। ১০টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট, ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট আর ডিএস ৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় আছে ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুেরেন্স, এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি টাকার। দিনের প্রথম ৩০ মিনিটেই এই কোম্পানির সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নতুন তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে প্রায় আট গুণ হয়েছে। টানা মূল্যবৃদ্ধিতে কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের (ফেসভ্যালু) শেয়ারের বাজারমূল্য বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা।

দ্বিতীয় স্থানে আছে ফারইস্ট লাইফ, এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার; তৃতীয় স্থানে আছে নাভানা ফার্মা; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার। দিনের প্রথম ৪৫ মিনিটে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটি কোম্পানি বিমা খাতের।


সম্প্রতি শেয়ারবাজারে লেনদেনের বড় অংশজুড়েই আছে বিমা খাতের শেয়ারের আধিপত্য। সেই সুযোগে এ খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা কোম্পানিগুলো সাধারণত স্বল্প মূলধনি হওয়ায় এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা সহজ। আর আইপিও শেয়ারের ক্ষেত্রে কারসাজির সুযোগ আরও বেশি।

তালিকাভুক্তির শুরুতে কারসাজিকারকেরা বড় অঙ্কের শেয়ার কিনে নেন। এরপর দাম বাড়াতে শুরু করেন। দাম বাড়তে থাকলে অনেকে শেয়ার বিক্রি না করে ধরে রাখেন। ফলে প্রতিদিন অল্প কিছু শেয়ারের হাতবদলের পরও সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।