সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশের অর্জন ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেতাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে নির্মম হত্যাকাণ্ড তারাই ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তারা। এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের দায় তাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন। এ আন্দোলনের কুশীলব তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এ হামলা চালিয়েছে। এ আন্দোলন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি। পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সব পক্ষ ধৈর্য ধরেছে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে।
আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কারা সহযোগিতা করবে সবকিছু প্রস্তুত ছিল।
তিনি বলেন, তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে এনে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা আজকে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।