বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি: অ্যামনেস্টির উদ্বেগ ও আহ্বান

প্রকাশকালঃ ০৮ আগu ২০২৪ ০২:৫২ অপরাহ্ণ ৬০৬ বার পঠিত
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি: অ্যামনেস্টির উদ্বেগ ও আহ্বান

ঢাকা প্রেস নিজ


অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

 

সাইবার নিরাপত্তা আইন: অ্যামনেস্টি বিশেষভাবে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, এই আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংগঠনটি এই আইন প্রত্যাহার করতে বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
 

অন্যান্য উদ্বেগ: অ্যামনেস্টি আরও উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা গণবিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। সংগঠনটি বিশেষভাবে গুম, হত্যা এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন: অ্যামনেস্টি বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পূর্ণভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি মনে করে যে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার একটি সুযোগ।
 

অ্যামনেস্টির দাবি: অ্যামনেস্টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিম্নলিখিত দাবি জানিয়েছে:

  • সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার বা সংশোধন: এই আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • গুম ও হত্যার ঘটনা তদন্ত: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা গণবিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঘটে যাওয়া গুম ও হত্যার ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা এবং দোষীদের বিচার করা।
  • মানবাধিকার রক্ষা: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পূর্ণভাবে মেনে চলা এবং সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করা।
  • আইসিটি আইন, ডিএসএ, সিএসএ এবং অন্যান্য আইনের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মুক্তি: মানবাধিকারের দাবি জানাতে গিয়ে এই আইনগুলোর অধীনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা।
     

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই আহ্বান বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকারের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। সংগঠনটি আশা করে যে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে।