জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, আমরা নাকি নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাই। অথচ সত্যি হলো—গণ-অভ্যুত্থান না ঘটলে আপনারা আজ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করতে পারতেন না। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপান্তর এবং সরকার পতনের পথে না নিয়ে গেলে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে আপনাদের আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন চাই, ভোটাধিকার চাই এবং জনগণের মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শেষে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে চাঁদাবাজির একটি অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। দুঃখজনকভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতাকর্মীকেও এই চাঁদাবাজির রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নাম ও এনসিপির পরিচয় ব্যবহার করে কেউ কেউ চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা ঘরের ভেতর থেকেই শুরু করব। এজন্যই এনসিপি ঘোষণার পরপরই আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গত ১৭ বছর ধরে জামালপুরে কেউ স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে পারেনি। পুরো রাজনীতি ছিল একটি গডফাদারের নিয়ন্ত্রণে। আমরা সেই জিম্মিদশা থেকে জনগণকে মুক্ত করেছি। তাই দেশ গড়ার লক্ষ্যে আপনারা এনসিপির পাশে দাঁড়ান।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান, ডা. তাসনিম জারা, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহরের তমালতলা থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফৌজদারি মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। এতে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।