জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের বরণ: আনন্দ ও প্রস্তুতির জোয়ার

প্রকাশকালঃ ১৩ মে ২০২৪ ০১:০৬ অপরাহ্ণ ৫৯০ বার পঠিত
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের বরণ: আনন্দ ও প্রস্তুতির জোয়ার

সোমালিয়ার জলদস্যুর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশে ফিরছে আজ। আজ সোমবার রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের সঙ্গে মিলিত হবেন তারা। কাল মঙ্গলবার বিকেলে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। 
 

                            জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি, দেশবাসী আনন্দিত : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

৬৪ দিন পর দেশে ফিরছে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক

সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে আজ সোমবার দেশে ফিরছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। আজ রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করবে জাহাজটি।

স্বজনদের অপেক্ষা

জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের সাথে মিলিত হবেন নাবিকরা। তাদের ফিরে আসা নিয়ে স্বজনদের মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। নাবিকরা তীরে এলে জেটিতে গিয়ে তাদের বরণ করতে চান স্বজনরা।

বরণের প্রস্তুতি

নাবিকদের বরণের জন্য নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বজনরা। কেউ কেউ জাহাজ থেকে নামার সাথে সাথেই বুকে জড়িয়ে ধরবেন নাবিক স্বজনদের। আবার কেউ কেউ তাদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াবেন। ফুল দিয়ে বরণ করবেন। জিম্মিদশার দুঃসহ সেইসব দিনের কথা শুনবেন।

কোথায় নাবিকদের বরণ করা হবে?

কাল মঙ্গলবার বিকেলে সদরঘাট জেটিতে নাবিকদের বরণ করবেন স্বজনরা। জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করলে নাবিকদের আরেকটি গ্রুপ পাঠাবে জাহাজের মালিকপক্ষ। তাদের নিয়ে আসা হবে সদরঘাট জেটিতে।

আনুষ্ঠানিকতা

নাবিকদের জাহাজ থেকে নামার পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে। এরপর স্বজনরা তাদের সাথে দেখা করতে পারবেন।

জাহাজের অবস্থান

এমভি আবদুল্লাহ দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে লাইটারেজ জাহাজ দিয়ে চুনাপাথরের কিছু অংশ খালাস করা হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এনে খালাস করবে জাহাজটি।

নাবিকদের মুক্তি

গত ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি আবদুল্লাহ ১২ মার্চ সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে পড়ে। দীর্ঘ ৬৪ দিনের জিম্মিদশার পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অভিযানে জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পান নাবিকরা।

 

এই ঘটনা বাংলাদেশের নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সরকার নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।