যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসের পর এবার নিউ ইয়র্ক সিটির মসজিদেও উচ্চৈঃস্বরে আজানের অনুমোদন
প্রকাশকালঃ
৩১ আগu ২০২৩ ০১:২৩ অপরাহ্ণ ১৮৭ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসের পর এবার নিউ ইয়র্ক সিটির মসজিদেও উচ্চৈঃস্বরে আজান শোনা যাবে। এখন থেকে প্রতি শুক্রবার জুমার আজান এবং রমজান মাসে মাগরিবের আজান প্রকাশ্যে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। এ জন্য মসজিদগুলোকে শহর কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
স্থানীয় মুসলিম নেতা ও পুলিশ বিভাগের সহায়তায় আওয়াজের মাত্রা সীমিত পরিসরে নির্ধারণ করা হবে। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) নতুন নির্দেশনায় এসব তথ্য জানিয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। নতুন নির্দেশনা অনুসারে এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, ‘আজ আমরা লাল ফিতা কেটে এ কথা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি,
আপনি যদি কোনো মসজিদ বা উপাসনার স্থানে অবস্থান করেন তাহলে শুক্রবারের আজানের জন্য কোনো অনুমোদন লাগবে না। নিউ ইয়র্ক সিটিতে আপনারা আপনার ধর্ম পালনে স্বাধীন।’ প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট এবং রমজান মাসে মাগরিবের নামাজের আজান উচ্চৈঃস্বরে দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
ডেমোক্রেটিক দলের সদস্য এরিক আরো বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক সিটি ইসলামী সংস্কৃতিসহ সব ধরনের সংস্কৃতি লালন করে। এখানকার মুসলিম অভিবাসীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজান হলো নামাজের ঘোষণা দেওয়া। এটি মুসলিম অভিবাসীদের অধিকার।
আপনারা মাইকে উচ্চৈঃস্বরে আজান শুনতে পাবেন। মুসলিমদের কাছে এটি খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ তা বাস্তবায়িত হয়েছে।’ নিজ শহরে আজান শোনার অনুভূতিকে অনেক বড় করে দেখছেন স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী। মুসলিম কমিউনিটির দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ধর্মীয় এ উদ্যোগের বাস্তবায়নকে উচ্ছ্বাসভরে স্বাগত জানান তাঁরা।
মুসলিমদের সঙ্গে যোগাযোগকারী মেয়র অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাহে বলেছেন, ‘মুসলিম জনগোষ্ঠীর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। শুক্রবার দিন আমরা যখন মসজিদে হেঁটে যাব তখন আমরা আজান শুনতে পারব। আমাদের শিশুদের কাছে এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমাদের অনেকেই এখন বার্ধক্যে উপনীত।
অথচ আমরা আজান শুনে বড় হয়েছি। তাই আমরা তা মিস করি। আমরা দীর্ঘদিন এর অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও আমাদের মতো অভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হবে।’ গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ শহর মিনেসোটায় উচ্চৈঃস্বরে আজানের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সেখানে শুধু সকাল ও সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আজান দেওয়া যেত।