এবারও ৭ সেরা করদাতা একই পরিবারের

প্রকাশকালঃ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৪:২৩ অপরাহ্ণ ২৩৫ বার পঠিত
এবারও ৭ সেরা করদাতা একই পরিবারের

ম্মাননা হাতে সেরা করদাতা আনোয়ারা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।
২০২২-২৩ করবর্ষে সেরা করদাতা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড বা কর কার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিতে তাদের হাতে ট্যাক্স কার্ড ও ক্রেস্ট তুলে দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এবার ব্যক্তি পর্যায়ের ৭৬ করদাতা, ৫৪টি প্রতিষ্ঠান ও অন্য শ্রেণিতে আরও ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা দিয়েছে এনবিআর। পাশাপাশি এবারও সাত সদস্যের ‘কর বাহাদুর পরিবার’কে সেরা করদাতা পরিবার হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর আগেও এ পরিবারের সাত সদস্য সেরা করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।


এ পরিবারের সদস্য হলেন ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি এবং খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ হায়দার হোসেন, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এম এম আমজাদ হোসেনের স্ত্রী, কোম্পানির অন্যতম পরিচালক এবং বর্তমান এমডি এম এ হায়দার হোসেনের মা খাজা তাজমহল, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডিরেক্টর (অপারেশন) আনোয়ারা হোসেন, একই কোম্পানির পরিচালক ও খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন ও লায়লা হোসেন।


একই পরিবারের সাত সেরা করদাতার সম্মাননা ক্রেস্ট

ট্যাক্স কার্ডধারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে সিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, তারকা হোটেলসহ আবাসিক হোটেলে বুকিং, নিজে, স্ত্রী বা স্বামীর ও নির্ভরশীল সন্তানের জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন, আকাশ-রেল-নৌপথে সরকারি যানবাহনের টিকিট এবং জাতীয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ। ট্যাক্সকার্ডের মেয়াদ থাকছে এক বছর।

এবার কোন শ্রেণিতে কারা কর কার্ড পেলেন

জ্যেষ্ঠ নাগরিক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী; ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক খাজা তাজমহল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ রহমান, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর মুক্তাদির।

গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: এ মতিন চৌধুরী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, মো. জয়নাল আবেদীন ও আবু সালেহ্ মোহাম্মদ নাসিম।

প্রতিবন্ধী: ঢাকার আকরাম মাহমুদ, সিলেটের মো. মামুনুর রশিদ ও কুষ্টিয়ার মো. শাহজামাল।

মহিলা: আনোয়ারা হোসেন, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, নিলুফার ফেরদৌস, মিতুলী মাহবুব ও ডা. শায়লা আফ্রিন খন্দকার।

তরুণ: আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, মো. শাহেদ শাহরিয়ার, সারদিন রহমান, নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ ও রাকেশ কুমার।

ব্যবসায়ী: হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী মো. কাউছ মিয়া; গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গাজী গোলাম মূর্তজা; ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম, চেয়ারম্যান এস এম শাসছুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

বেতনভোগী: এ শ্রেণির পাঁচজনই একই পরিবারের। তাঁরা হলেন ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন, লায়লা হোসেন এবং এম এ হায়দার হোসেন।

চিকিৎসক: জাহাঙ্গীর কবির, এ কে এম ফজলুল হক, এন এ এম মোমেনুজ্জামান, প্রাণ গোপাল দত্ত ও লুৎফুল লতিফ চৌধুরী।

সাংবাদিক: চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মালেক এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ।

আইনজীবী: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকার (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, আহসানুল করিম, তৌফিকা আফতাব ও কাজী মোহাম্মদ তানজীবুল আলম।

প্রকৌশলী: মো. আতিকুর রহমান, দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (সেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম জহিরুল হক।

স্থপতি: মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম ও খান মোহাম্মদ মুস্তাফা খালীদ।

হিসাবরক্ষক (অ্যাকাউন্ট্যান্ট): মোহাম্মদ ফারুক, মাশুক আহমদ ও স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

নতুন করদাতা: রায়ান মাইকেল অট, মো. আলী নুর, মো. রফিকুল ইসলাম, জারা জেরিন জামান, শাহ আলম উদ্দীন, আনতারা জাইমা ও মোহাম্মদ আমিনুল হক।

খেলোয়াড়: ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মো. মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল খান।

অভিনেতা-অভিনেত্রী: মাহফুজ আহমেদ, ফরিদা আক্তার ববিতা ও সিয়াম আহমেদ।

শিল্পী (গায়ক-গায়িকা): তাহসান রহমান খান, এস ডি রুবেল ও মমতাজ।

অন্যান্য: পলমল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিস সিকদার, রাকিন সিটি ডেভেলপমেন্টের পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান ও মো. মনির হোসেন।

যেসব প্রতিষ্ঠান কর কার্ড পেল

ব্যাংক: ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক।

অ-ব্যাংকিং আর্থিক: ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড এবং ডিবিএইচ ফাইন্যান্স।

টেলিকমিউনিকেশন: গ্রামীণফোন।

প্রকৌশল: বিএসআরএম স্টিলস, বাংলাদেশ স্টিল রি–রোলিং মিলস (বিএসআরএম) ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: নেসলে বাংলাদেশ, প্রাণ ডেইরি ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

জ্বালানি: তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফরটিন এবং পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি।

পাটশিল্প: আকিজ জুট মিলস, আইয়ান জুট মিলস ও পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ।

স্পিনিং ও টেক্সটাইল: স্কয়ার টেক্সটাইলস, কোটস বাংলাদেশ, বাদশা টেক্সটাইলস, এনজেড টেক্সটাইল, কামাল ইয়ার্ন, এসিএস টেক্সটাইলস ও ফখরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস।

ওষুধ ও রসায়ন: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার ও ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালস।

প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়া: মিডিয়াস্টার লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড, সময় মিডিয়া ও টাইমস মিডিয়া লিমিটেড।

আবাসন: স্বদেশ প্রপার্টিস, শান্তা হোল্ডিংস ও এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টস।  

তৈরি পোশাক: ইয়াংওয়ান হাইটেক স্পোর্টসওয়্যার, স্কয়ার ফ্যাশনস, রিফাত গার্মেন্টস, তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিভার্সেল জিনস, নাইস ডেনিম মিলস ও ফকির নিটওয়্যার।

চামড়াশিল্প: বাটা সু কোম্পানি, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ও অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার।

অন্যান্য: ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি।

এ ছাড়া অন্যান্য করদাতা শ্রেণিতে মেসার্স এসএন করপোরেশন, মেসার্স মো. জামিল ইকবাল, ওয়ালটন প্লাজা, মেসার্স ছালেহ আহাম্মদ, সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদাতা সমিতি, ব্র্যাক, আশা, সামওয়ান–মীর আক্তার জয়েন্ট ভেঞ্চার ও ব্যুরো বাংলাদেশ কর কার্ড পেয়েছে।