প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কর্ণফুলী বড় উঠানে চোখ,হাত–পা বেঁধে‌ মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৭ জুলাই ২০২৫ ০২:০৯ অপরাহ্ণ   |   ৬৩ বার পঠিত
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে  কর্ণফুলী বড় উঠানে চোখ,হাত–পা বেঁধে‌ মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের অভিযোগ

হোসেন বাবলা (চট্টগ্রাম):-


 

কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে পেশায় বাস চালক মোঃ আলমগীর কে চোখ ও হাত–পা গামছা দিয়ে বেঁধে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়, পরে হাত ও পায়ের নখ তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।
 

গত ৫ জুলাই রাতে ঐ যুবক আলমগীর কে পুরনো প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে চোখ ও হাত–পা গামছা দিয়ে বেঁধে রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ সূত্রে জানায়।


জানা যায়, এক গার্মেন্টস কর্মীর (২৩) সঙ্গে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার ও সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। দীর্ঘ দিন পর,শেষমেশ আলমগীর অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পরেও ঐ গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলে জানায় পরিবার। যাহা পরকিয়া প্রেম বা অপকর্ম, অপরাধ হিসেবে গণ্য।


এর জেরে মুঠোফোনে প্রাক্তন প্রেমিকার নিকট আত্মীয় স্বজন তাকে ডেকে নিয়ে গত(৫জুলাই)শনিবার দুপুর ১টার দিকে বড়উঠান ফাজিল খাঁর হাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ঘটে এ নৃশংস ঘটনা। 
আহত মো. আলমগীর (২৫) স্থানীয় পুতা বেচার বাড়ির মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি বাসচালক।


এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।

 

গত শুক্রবার রাতে মেয়েটির ফোন পেয়ে তার ভাড়া বাসায় যান আলমগীর। সেখানেই আটকে রেখে পরদিন দুপুরে ঐ তরুণীর মা, দুই ভাই, দুই বোন এবং দুই বোনের স্বামী মিলে আলমগীরকে হাত–পা ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার আঙুল ও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আলমগীর।


আলমগীরের ভাই জসিম উদ্দিন সংবাদ প্রতিবেদকে বলেন, আমার ভাই কোনো অপরাধ করলে তা আইনের আওতায় আনা যেত,কিন্তু তারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার ভাই এখন মৃত্যু শয্যায় গুরতর অসুস্থ্য...!

 

আহত আলমগীর হাসপাতালের শয্যা থেকে জানান, আমি বুঝতেই পারিনি তার ফোনটা আমার জন্য ফাঁদ হবে। তার মা, ভাই–বোন সবাই মিলে আমার চোখ–মুখ বেঁধে এমন নির্যাতন করেছে, নখ তুলে নিয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, মামলা হওয়ার পর কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন।