ঢাকা প্রেস: মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, সরকার ও রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, "সিদ্ধান্ত কে বা কারা বা কোন সরকার নিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সিদ্ধান্তটি জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছে কি না এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না।"
তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপ্রধান দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করে এমন এবং জনগণের ভোগান্তির কারণ হতে পারে এমন নীতি ও কর্মসূচি পরিহার করার জন্যও অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তাদের স্বার্থে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "স্বাস্থ্যসেবা কি কখনো রাজনৈতিক হতে পারে? এটা কি দেশপ্রেম?"
তিনি আরও বলেন, "তারা আগের সরকারের সকল ভালো উদ্যোগকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তারা সত্যকে অস্বীকার করে এবং মিথ্যা নিয়ে এগিয়ে যায়।"
২০০১ সালে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য জনপ্রিয় উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি এটিকে তৎকালীন সরকারের "প্রতিহিংসামূলক ও জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত" বলে অভিহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনে করেন, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জনস্বার্থকে উপেক্ষা করা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও প্রতিহিংসাত্মক রাজনীতির লক্ষণ।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।