‘মব করে রায়’: সারজিস আলমকে আইনি নোটিশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ মে ২০২৫ ০১:১৯ অপরাহ্ণ   |   ৯৭ বার পঠিত
‘মব করে রায়’: সারজিস আলমকে আইনি নোটিশ

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

আদালত অবমাননার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
শনিবার এই নোটিশ পাঠান আইনজীবী জসিমউদ্দীন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণ ঠেকাতে করা রিট আবেদন খারিজ হওয়ার পর সারজিসের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে।

সারজিস তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন:
“মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কী?”

আইনজীবী জসিমউদ্দীন এ মন্তব্যকে আদালত অবমাননার শামিল বলে অভিহিত করে বলেন,
“এটি আদালতের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। নোটিশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে সারজিস আলমকে জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।”


ইশরাক হোসেন ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপদ নিয়ে টানাপোড়েন

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে।

কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

তবে শপথগ্রহণে বাধা দিতে গিয়ে ১৪ মে ঢাকা দক্ষিণের বাসিন্দা ও আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। একই দিনে ইশরাকের সমর্থকরা শপথের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন, ফলে নগর ভবনের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’ দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকে।


ক্ষোভ, মন্তব্য ও নতুন ঘোষণা

এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক, যা তার সমর্থকরাও সমর্থন জানান।

এরই মধ্যে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেয়। ওই আদেশের পরপরই সারজিস আলম বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন।

একই দিন বিকালে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন।


‘জনতার মেয়র’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা

শুক্রবার সকালে ফেসবুক পোস্টে ইশরাক লেখেন,
“শপথ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো—আগামী কোরবানির ঈদের আগে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন,
“উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দায়িত্ব পালনে আমি সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন করব।”